শুরু থেকে একের পর এক গোলে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকে নেদারল্যান্ডস।তারপর দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খাপছাড়া ফুটবল খেলে হারাতে বসেছিল পয়েন্ট।তবে ফন গালের শিষ্যরা জ্বলে উঠল ঠিক সময় মত।শেষ দিকের ঝলমলে পারফরম্যান্সে সেনেগালকে তারা হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন কোডি গ্যাকাপো ও ক্যালাসেন।
ফলে গত বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে না পারা ডাচরা এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে।
দোহার থুমামা স্টেডিয়ামে সোমবার ‘এ’ গ্রুপের এই লড়াইয়ের প্রথামার্ধটা হতাশার। এ সময় বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে দলটি। ম্যাচের ১৯ তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড সুযোগ মিস করেন ডি ইয়ং।স্টিভেন বেরহাসের বক্সে বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
৪০তম মিনিটে ডেনজিল ডামফ্রিসের কাছ থেকে পাওয়া বলে বাহাসের নেওয়া জোরালো শট অল্পের জন্য টার্গেট মিস করে।
সমতায় প্রথামার্ধ শেষ করা নেদারল্যান্ডস বিরতির ফর দেখা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে দ্বিতীয়ারদের প্রথম ৩০ মিনিট তারা সেভাবে কোন আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি খেলেছে অনেকটা খাপছাড়া ফুটবল। ফলে প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর ভয়ে ছিল ডাচরা।
তবে ডি অং প্রথমার্ধে করা ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলে বিপদমুক্ত হয় ফন গালের দল।৮৪তম মিনিটে তার দুর্দান্ত ক্রসে ছুটে গিয়ে অসাধারণ এক হেডে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে নেন হাকপো। এগিয়ে এসেও বলের নাগাল পাননি সেনেগাল গোলকিপার মঁদি। তাকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে।
ম্যাচের এবারের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৭৯তম মিনিটে বদলি নামা ক্লাসেন। ডিপাইয়ের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিলেও ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি চেলসি গোলরক্ষক মঁদি।ফাকা জায়গায় বল পেয়ে যান আয়াক্স মিডফিল্ডার ক্লাসেন। জালে জড়ান হেসেখেলেই।