বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটে জেলা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা সকাল-সন্ধ্যার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এ ধর্মঘট। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু এ ধর্মঘটে সংগঠনগুলো নিজ নিজ স্বার্থের কথা বললেও মুলত বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে ডাকা হয়েছে বলে দাবী করেছে স্থানীয় বিএনপি। যেমনটি পূর্বে দেশের ৬টি বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘটের কারনে রাস্তাঘাট ফাঁকা, আমজনতা পড়েছেন জনদূভোর্গে। তারর্পও সমাবেশ অভিমুখে জন¯্রােত ঠেকানো যায়নি। বিকল্প পথে তারা জড়ো হয়েছেন সমাবেশস্থলে।
প্রথমে নানা নাটকীয়তার পর বুধবার ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। তারা ৩টি দাবিতে শনিবারের ধর্মঘটের ডাক দেন। দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেটে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, নতুন করে অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন না দেয়া, অটোরিকশায় ৩ জনের বেশি যাত্রী পরিবহন না করা ও চালকের আসনের পাশে গ্রিল লাগানো।
পরদিন (বৃহস্পতিবার) জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নতুন করে ৪টি দাবি তুলে শনিবারের ধর্মঘটের ডাক দেয়। দাবিগুলো হচ্ছে- যেসব অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন নেই সেসেব অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সিলেটের সবকয়টি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদান, সিলেটের লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ এবং হাইওয়ে সড়কে ব্যাটারিচালিত টমটম ও রিকশার চলাচল বন্ধ করা। জেলা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতি শুধু বাস ধর্মঘটের ডাক দিলেও জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ শনিবার সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
শনিবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লা এবং সিলেটে আঞ্চলিক সড়ক- কোনো গাড়িই সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি। কোনা সড়কেই কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে মাঝে-মধ্যে প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।