গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাদের রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৫ (র্যাব) এর রাজশাহী মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫ মিডিয়া সেল।
গ্রেফতার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা এলাকার চশভবানীপুরের মৃত নূত আ. রশিদের ছেলে মো. মোরশেদুল আলম (৪৮)। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর বাগমারা থানার চানপাড়া এলাকায় বসবাসরত।
বাকি ৭ জন হলেন, বাগমারার খাঁপুর গ্রামের মো. জবেদ আলীর ছেলে মো. মমিন মন্ডল (২১), বাগমারার চাঁইপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. জাকিরুল ইসলাম (৩৭), বাগমারার রামগুইয়া গ্রামের মো. আব্বাস আলীর ছেলে মো. শামসুল ইসলাম (৪৫), নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার জোয়ানপুর মাধবনগর গ্রামের মো. আবু হাসান মন্ডলের ছেলে মো. তৌহিদুল ইসলাম জনি (৩৩), বাগামারার দানগাছি এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে মো. দুলাল হোসেন (৪৮), বাগমারার গুনিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. আকরাম প্রামাণিকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২৫), বাগমারার খালিশপাড়ার মো. আ. সাত্তারের ছেলে মো. তোফায়েল হোসেন (৩৩)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। র্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহীর বাগমারা থানার ভবানীগঞ্জ এলাকায় একটি অসাধু চক্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার হল থেকে নিয়ে এসে তার উত্তর তৈরি করে এবং বিক্রি করে। যা পরবর্তীতে পরীক্ষার হলে গোপনে বিভিন্ন মাধ্যমে সাপ্লাই দেওয়া হয়।
এসব তথ্য পাওয়ার পর র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম ভবানীগঞ্জ এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা ধ্বংসকারী ও গর্হিত কর্ম সম্পাদনকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৮ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে এইচএসসি পরীক্ষার এক সেট আসল পশ্নপত্র, ৫টি গাইড বই, ২০০ সেট ফাঁসকৃত প্রশ্নের উত্তর, ২টি ফটোকপি মেশিন, ৭টি মোবাইল ও ৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি (বিএমটি/বিএম) হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাহায্যে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি ধারণ করা হয়। পরে ওই বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কপি দেখে খুব দ্রুত উত্তরপত্র প্রস্তুত করে উল্টরপত্রের ফটোকপি পরীক্ষার্থীদের নিকট অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করত। তারা এর আগেও অর্থের বিনিময়ে একাধিকবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে স্বীকার করেছেন। আাসমিদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।