বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : ডিসেম্বরের শেষে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ। বছর শেষে ছুটিতে বেড়ানো বলে একটা কথা আছে। আর বেড়ানোর জন্য পর্যটন শহর কক্সবাজারই উত্তম এবং সিকিউরড জায়গা। বার্ষিক ছুটি আর শীতের এই দিনে কক্সবাজার ভ্রমণের মোক্ষম সময়। গেল সপ্তাহে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবসের ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে এখন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করছে। আগত পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কক্সবাজার জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
গতকাল সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে পর্যটকদের উন্মুক্ত বিচরণ ও প্রশাসনের ব্যস্ততা। শহরের লাবনী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট, হিমছড়ি, সোনার পাড়া ও ইনানী সৈকতে দেখা গেছে ভিড়। কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের রাস্তা ও অলি-গলিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
খবর নিয়ে জানাগেছে, তারাকা হোটেল গুলোসহ সাধারণ হোটেল মোটেল ও রেস্ট হাউজগুলোতেও অন্তত ১৫ দিনের জন্য রুম ভাড়া হয়ে গেছে। কয়েকজন হোটেল মালিক ও ম্যানেজারের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের বুকিং আছে। তারাকা হোটেল সী গালের সিইও শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী রুমী বলেন, হ্যাঁ, বছরের শুরুতেই পর্যটক আগমন ভালোই হচ্ছে। তারাকা হোটেলগুলোতে কম-বেশি পর্যটক সবসময় থাকে। তবে এবারে চলতি মৌসুমে পর্যটকের আগমন দেখে ভালো যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির নেতা ও সৈকতের ব্যবসায়ী নেতা মোশররফ হোসেন দুলাল বলেন, বছর শেষে ছুটিতে কক্সবাজারে এখন হাজার হাজার পর্যটক এসেছে। পুরো মৌসুম এভাবে যাবে বলেই তারা আশা করছেন। কক্সবাজার শহরের কাসেম ইলেক্টনিক্স ও নিলুফা ইলেক্টনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সৈকতে পর্যটক আসলে বুঝা যায়Ñ তখন শহরে উপচে পড়ে পর্যটকের ঢল। এবারো তাই দেখা যাচ্ছে।
সীইন পয়েন্টে গতকাল কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কক্সবাজার আগত পর্যটকদের সুধিা-অসুবিধার কিছু কথা। তারা জানান, কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের হোটেল ভাড়া, রেস্টুরেন্ট খরচ ও যাতায়াত খরচ অনেক বেশি। এ বিষয়গুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আনা দরকার বলেই তারা মনে করেন।
এদিকে কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনে একটি মাত্র সড়ক হওয়ায় প্রায় সময় যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। সৈকতে যে ওয়াক ওয়ে স্থাপনের কথা রয়েছে তা যত দ্রুত স্থাপন করা দরকার বলেও সচেতন মহল মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।