পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিজয় দিবসে দিল্লীর শিকল ভাঙ্গার দৃঢ় অঙ্গিকার করে ২০ দলীয় জোট নেতা ও জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, সময় ভয়ঙ্কর হলেও আজ সাহস করে সত্য বলতে হবে। ঘটা করে বিজয় দিবস পালিত হলেও স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও বাংলার মজলুম মানুষ বিজয় দেখে নাই। ইতিহাস সাক্ষী লাখো শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয়বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদারবাহিনীকে ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসামনীকে সেই অনুষ্ঠানে থাকতে দেয়া হয় নাই কেন, সেই প্রশ্নের জবাব আজও দেশবাসী জানতে পারে নাই।
তিনি আরো বলেন এর পরের ইতিহাস ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, চক্রান্তের ইতিহাস, বাংলার মানুষকে গোলাম বানিয়ে রাখার ইতিহাস। বন্দী বঙ্গবন্ধু মুজিব পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে যান। দাসত্বের শেকল ভাঙতে যেয়ে তাকে নির্দয়ভাবে প্রাণ হারাতে হয়। একই চক্রান্তের কারণে মাতৃভূমি ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াও শাহাদাৎ বরণ করেন। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী, মেজর জলিল, কমরেড সিরাজ শিকদারসহ অগণিত দেশপ্রেমিক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দিল্লীর শেকল ভাঙার চেষ্টা চালান। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুর রহমান খান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন শিল্পী, ভিপি মজিবুর রহমান, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির প্রমূখ।
প্রধান বলেন, আমাদের জাতীয় বিকাশের প্রধান বাঁধা আধিপত্যবাদী ভারতকে তোষণ করে বাংলাদেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। এই নির্মম সত্য উচ্চারণে দ্বিধাগ্রস্ত বলে বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র বুটের তলায় পিষ্ট। স্বাধীনতাকে নিলামে তুলা হয়েছে। ক্ষমতায় সুজাতা সিং মনোনীত পুতুল সরকার। ওরা আমাদের ভাতে মারে, পানিতে মারে, সীমান্তে প্রতিদিন নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। এরপরও যদি দিল্লীকে বন্ধু বলতে হয় তাহলে আমাদের শত্রু কারা?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।