পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনআরএসসি) বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আজ। রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে যে ৩টি প্রধান বিষয়ের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা সেগুলো হলো- নিরাপদ সড়কসংক্রান্ত কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৪, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং ইতোমধ্যে পরিত্যাক্ত ঘোষিত যানবাহনের কোনো নিবন্ধন না দেয়া।
সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনআরএসসির বৈঠক হয়েছিল। বৈঠক আয়োজনে এমন দীর্ঘ বিলম্বের কারণে কেবল গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টিই প্রভাবিত হয়নি, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তার কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার অনুমোদন প্রক্রিয়াও আটকে গেছে। ফলে দেশে এখন সড়ক নিরাপত্তার জন্য কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। আগেরটি মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালেই।
বিআরটিএ’র সূত্রগুলো বলছে, কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি বৈঠকের আরও ২টি প্রধান এজেন্ডা আছে। এর একটি হলো মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং অন্যটি পরিত্যাক্ত ঘোষিত যানবাহনের নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় মহাসড়কে এই যান চলাচল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। চলতি বছরের জুন মাসে একটি সরকারি তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছিল যে, দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনতে জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করা উচিত।
জাতীয় মহাসড়কে পৃথক সার্ভিস লেন থাকলেই কেবল মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্সের শেষ ২টি বৈঠকেও মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনা ও এতে মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও দেশ কোনো ধরনের সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে। প্রতি ৬ মাস পরপর কিংবা কাউন্সিল প্রধানের ইচ্ছায় এনআরএসসির বৈঠক হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। পদাধিকারবলে কাউন্সিলের প্রধান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে ৫ হাজার ৪৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৫ হাজার ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এর আগের বছরের তুলনায় যা ৩০ শতাংশ বেশি। এদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্যই বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ৩ হাজার ৭০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০২ জন নিহত হয়েছেন। এই দুটি হিসাবই দেশে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক কম। কর্মকর্তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ সড়কসংক্রান্ত কৌশলগত পরিকল্পনার বিষয়টিই বৈঠকে মূল আলোচ্যসূচি হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই-রাব্বানী বলেন, আমরা কর্মপরিকল্পনার খসড়াটি এনআরএসসির বৈঠকে উপস্থাপন করব।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।