নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সেই ২০০৮ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা হাতবদল হচ্ছে তাদের দু’জনের মধ্যে। কখনো উঠেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হাতে, কখনো লিওনেল মেসির। এবারো লড়াইটা হয়েছে এই দু’জনের। গোল ও গোলে সহায়তায় এবারো এগিয়ে ছিলেন মেসি। কিন্তু জাতীয় দল পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো ইউরো এবং ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় এবারের ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন রোনালদো। সোমবার রাতে সুইজারল্যান্ডের নিয়নে সম্পন্ন হল-এর আনুষ্ঠানিকতা। অনুমিতভাবেই চতুর্থবারের মতো ব্যালন ডি’অরে ভূষিত হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে রোনালদোরা এখন জাপানে। নিয়নের জমকালো অনুষ্ঠানে তাই তিনি থাকতে পারেননি। তবে নিয়ম অনুযায়ী পরের দিনই তার সাক্ষাৎকার ছাপে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাঙ্গাজিন। সেখানে তিনি জানান তার এই সুখানুভূতির কথা, ‘আমি কখোনোই ভাবিনি এই ট্রফি আমি চারবার জিতব। এমনটি করতে পেরে আমি সত্যিই খুশি।’ সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা বলেন, ‘যখন আমি প্রথম এটা জিতেছিলাম, সেই অনুভূতি ছিল সব সময়ই স্পেশাল। তবে আজও (সোমবার) আমি তেমন অনুভূতিই পাচ্ছি যেমনটা পেয়েছিলাম সেই ২০০৮ সালে।’ এমন গৌরবময় অর্জনের পর জাতীয় দল ও রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
যাকে হারিয়ে এই খেতাব সেই মেসির প্রসঙ্গেও গতকাল ফরাসি ম্যাঙ্গাজিনকে জানিয়েছেন নিজের অভিমত। সেরার প্রশ্নে এবারো নিজেকে এগিয়ে রাখেন ‘সিআর-সেভেন’। দু’জন এক দলে খেললে ব্যাপারটা কেমন হতো? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয়ই এক দলে খেললে সেটা হতো চমৎকার।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গ্রেট খেলোয়াড়দের এক দলেই খেলা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি একসাথে খেলতাম, আমি মনে করি তার চেয়ে আমিই বেশি জিততাম, তবে সেও খুববেশি পিছিয়ে থাকত না।’ ফুটবল জাদুকরকে প্রসংশায় ভাসিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘সবাই জানে মেসি গ্রেট খেলোয়াড়। সে পাঁচবার ব্যাল ডি’অর জিতেছে।’
এখানেই শেষ নয়। আর একবার জিতলেই হয়ে যাবেন মেসির সমান। এজন্য যা যা করণীয় তা চালিয়ে যাবেন জানিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আমার লক্ষ্য এখন ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি। এরপর জিততে চায় লা লিগা। এটা সেই শিরোপা যেটা রিয়াল জিততে চাই। এবং যদি সম্ভব হয় আবারো জিততে চাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা দেল রে শিরোপা। আমি সব সময় সবকিছুই জিততে চাই।’
২০০৮ সালে প্রথম এই পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন রোনালদো। এরপর রেকর্ড টানা চারবার সোনালী ট্রফিটা ওঠে আর্জেন্টাইন তারকার হাতে। এরপর ট্রফিটা হাতবদল হয়ে টানা দুইবার জেতেন পর্তুগিজ তারকা। গেল বছর হারানো মুকুট পুনরুদ্ধার করেন মেসি।
২০১৬ সালে তারা যেমন
মেসি রোনালদো
ম্যাচ অ্যাসিস্ট গোল গোল অ্যাসিস্ট ম্যাচ
৬২ ৩২ ৫৯ মোট ৫১ ১৭ ৫৫
৫১ ২৫ ৫১ ক্লাব ৩৮ ১৪ ৪২
১১ ৭ ৮ দেশ ১৩ ৩ ১৩
শেষ দশ ব্যাল ডি’অর জয়ী
সাল খেলোয়াড় দেশ/ক্লাব
২০০৭ কাকা (ব্রাজিল/এসি মিলান)
২০০৮ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগাল/রিয়াল মাদ্রিদ
২০০৯ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা
২০১০ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা
২০১১ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা
২০১২ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা
২০১৩ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগাল/রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৪ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগাল/রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৫ লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা/বার্সেলোনা
২০১৬ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগাল/রিয়াল মাদ্রিদ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।