পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি-না বা কারা জড়িত এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গত ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সাঁওতাল টমাস হেমব্রমর থানায় করা আবেদনকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ সুপারের নিচে নয় এমন কোনো কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিনধার্য করেছেন। আদালতে আসকের পক্ষে ছিলেন আবু ওবায়েদুর রহমান, এ ছাড়া সাঁওতালদের পক্ষে আরও ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদালতের আদেশের পর আইনজীবী আবু ওবায়েদ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় পুলিশই সাঁওতালপল্লীতে আগুন ধরিয়েছে। তাই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলাম। আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় পুলিশ প্রকৃতপক্ষেই জড়িত কি না তা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছেন।
অপরদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি সাজু বলেন, আদালত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সুনির্দিষ্টভাবে আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করতে বলেছেন। আমরা মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে সাঁওতাল ও পুলিশ উভয়পক্ষই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আদালত মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনটিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর সাঁওতালপল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখলে নিতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সাঁওতালরা হাইকোর্টে তিনটি পৃথক রিট আবেদন করে। সেসব রিট আবেদনের বিষয়ে ১৪ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিনধার্য ছিল। তবে এদিন আসক একটি সম্পূরক আবেদন করলে আদালত অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।