পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইন্ধন জুগিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। গতকাল রোববার রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনে যায়। পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর গির্জার সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এসব কথা বলেন। সমাবেশে সাঁওতালদের পক্ষে বক্তৃতা দেন রুমিলা হেমব্রম, মিনা মাড্ডি, মেথিয়াস মাড্ডি, বার্না দাস টুডু ও শ্যামল মার্ডি।
সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর এ অভিযোগের পর সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, এই সহিংস ঘটনায় যাঁরা ইন্ধন জুগিয়েছেন, তাঁরা যে দলেরই লোক হোক না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সমাবেশে তাঁরা বলেন, চিনিকলের সঙ্গে জমি নিয়ে যে বিরোধ, এই বিরোধ মেটানোর জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আমরা চার বছর আগে এই আন্দোলন শুরু করি। এখন তাঁরা আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সহিংস ঘটনার ইন্ধন জুগিয়েছেন। আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন। সহিংস ঘটনায় আমাদের লোক মারা গেছেন। তাঁরা আমাদের নামে মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই। আমাদের বাপ-দাদার জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, টিপু মুনশি, সুজিত রায় নন্দী ও উম্মে কুলসুম।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন ঘুরেছি। সাঁওতালদের ঘরে ঘরে গিয়েছি। তাঁদের কাছ থেকে ওই দিনের সহিংস ঘটনার খবর জানতে পেরেছি। আমরা এর প্রকৃত বিচার করব বলে আশা করি। তাঁরা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে কমিটি করে দিয়ে আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। তিনিও চান, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হোক।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ১৯৫৫-৫৬ সালে এই জমি চিনিকলের ছিল। তখন চুক্তি ছিল, এই চিনিকলের জমিতে আখ চাষ হবে। ওই সব জমিতে আখ ছাড়া অন্য ফসলের চাষ হলে প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পরিবারের তালিকা তৈরি করে ঘর করে দেব, সহজ শর্তে ঋণ দেব। তাঁদের নিরাপত্তা দেব। আমরা জানতে পেরেছি, সাঁওতাল পরিবারের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এখন থেকে সব সন্তানই স্কুলে যাবে। নিরাপত্তার বিষয়টি সরকার কঠোরভাবে দেখবে। এ ঘটনায় যাঁরা উসকানি দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ওই সভায় সহিংস ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।