পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : সরকারি ভূমি দখলে ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে সরকারি জমিতে সাঁওতাল বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন- শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গোবিন্দগঞ্জে ভূমিদস্যুরা সাঁওতালদের ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করেছিল। এখানে সাঁওতালরা ব্যবহৃত হচ্ছিল। যে স্থানে ওই ঘটনা ঘটে, সেখানে এর আগে কোনো সাঁওতাল পল্লী ছিল না। উল্লিখিত জমি ১৯৫৪ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিনিকলের জন্য আখ চাষে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ভূমিদস্যুরা সে জমি দখলের জন্য সাঁওতালদের ব্যবহার করে। যারা সাঁওতালদের জন্য মায়াকান্না কাদছে, মানখানেক আগে তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি সাঁওতালদের বুঝিয়ে শুনিয়ে জমি ছেড়ে দিতে। এভাবে সরকারি জমি কেউ দখল নিতে পারে না। আমরা নিজেরাও তিন মাস ধরে তাদেরকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা প্রত্যেকবারই আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। চিনিকলের শ্রমিক এবং পুলিশ বারবার তাদের কাছে আহত হয়েছে। আমরা এই জমি দখল না নিলে ওই ভূমিদস্যুরা নিজেরাই পরবর্তীতে সাঁওতালদের তাড়িয়ে ওই জমির দখল নিতো।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ এবং রায়পুরের ঘটনা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এরই মধ্যে সরকার এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে। নাসিরনগরের ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো মহলের যোগশাজস থাকার সম্ভাবনা আছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেন না, একটি মহল যেহেতু জঙ্গিবাদের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে, তাই তারা সংখ্যালঘু আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণœ করার চেষ্টা করে থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে আমরা মনে করি।
আমু বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক আছে। দেশে যে জঙ্গিবাদ চর্চার চেষ্টা হয়েছিল, তা বিনষ্ট করা হয়েছে। সব ইন্টারলিংক ধ্বংস করা হয়েছে। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ঘটতে দেয়া হবে না। সব সন্দেহভাজন পুলিশের নজরবন্দি আছে।
তিনি বলেন, নরসিংদীর রায়পুরের ঘটনায় তদন্তে কমিটি গঠন হয়েছে। দোষীদের বিচার করা হবে।
শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।