মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোরীয় উপদ্বীপে ঘনীভূত হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ! যে কোনও মুহূর্তে বেজে উঠতে পারে রণভেরী। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার যুদ্ধংদেহী মেজাজে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১৮০টি যুদ্ধবিমানকে। সীমান্তের কাছে এমন বিপুল বিমানবহর দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পালটা ৮০টি ফাইটার জেট পাঠায় দক্ষিণ কোরিয়া।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে কিমের ফৌজের প্রায় ১৮০টি যুদ্ধবিমানের গতিবিধি ধরা পড়ে রাডারে। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল বিমানগুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পালটা ৮০টি ফাইটার জেট পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছিল আমেরিকার দেয়া অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমানও। বিশ্লেষকদের মতে, দুই কোরিয়ার মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আরও একটি সংঘাতের সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব। এবং তেমনটা হলে এই লড়াইয়ে জড়িয়ে যাবে আমেরিকা, চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলি। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে বেশি দেরি হবে না।
বলে রাখা ভাল, গত সোমবার থেকে ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ শীর্ষক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। রণতরী, যুদ্ধবিমান নিয়ে যুদ্ধের কলাকৌশল দেখায় দুই দেশের হাজার হাজার সেনা। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এই মহড়া আসলে যুদ্ধের প্রস্তুতি। এভাবেই উসকানি দিয়ে উপদ্বীপকে দ্রুত সংঘাতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও সিওল। তারপরই বুধবার সমুদ্রে ২৩টি মিসাইল ছুঁড়ে কমিউনিস্ট কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের ফৌজ। জবাবে মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাও।
এদিকে, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় পেন্টাগনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণকে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এমন সামরিক কার্যকলাপ অঞ্চলটিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, পরিস্থিতি দেখে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মহড়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।