Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তেজনা : কোরীয় উপদ্বীপে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

একসঙ্গে ১০ মিসাইল ছুড়ে তাক লাগিয়ে দিলো উত্তর কোরিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এক অপরের জবাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার জবাবে একসঙ্গে ১০টি মিসাইল ছুঁড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিমে বুধবার সকালে এই মিসাইলগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার পানিসীমার একদম কাছাকাছি গিয়ে পতিত হয়। ১৯৪৫ সালে পৃথক হওয়ার পর এই প্রথম এত কাছাকাছি মিসাইল ছুঁড়েছে পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সিএনএন। সিউলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উলেউং দ্বীপের ১৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং নর্দান লিমিট লাইন (এনএলএল)-এর প্রায় ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়েছে। এটি দুই কোরিয়ার মধ্যেকার একটি বিতর্কিত সামুদ্রিক সীমান্ত, যদিও উত্তর কোরিয়া এর স্বীকৃতি দেয় না। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমে ইয়েলো সাগরে এবং পূর্বে জাপান সাগরে পতিত হয়। উলেউং দ্বীপে এসময় সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই মিসাইল নিক্কেপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি জরুরী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) সভায় উত্তর কোরিয়ার এমন আচরণের কঠিন প্রতিক্রিয়ার নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, দক্ষিণ কোরিয়া বুধবার সকালে এফ-১৫কে এবং কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। জেসিএস জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এনএলএল লাইনের যতখানি দক্ষিণে মিসাইল ছুড়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীও এনএলএল লাইনের ততখানি উত্তরে মিসাইল ছুঁড়েছে। এই প্রতিক্রিয়াই প্রমাণ করে, শত্রæকে উচিৎ জবাব দিতে আমাদের সামরিক বাহিনী কতখানি প্রস্তুত। এই উস্কানির জন্য উত্তর কোরিয়াকে ‘সম্প‚র্ণ দায়ী’ বলে অভিযুক্ত করেছে জেসিএস। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়াটি শুরু হয়। এটি শেষ হবে শুক্রবার। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে যৌথ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সোমবার থেকে বিরামহীনভাবে এগুলো শক্তি প্রদর্শন করছে। গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা দেন কিম জং উন। আর এ তকমা ‘অপরিবর্তনীয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছরে মিসাইল নিক্ষেপের তৎপরতা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ পর্যন্ত দেশটি অন্তত ৪০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়ায় হামলার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে পিয়ংইয়ং। তাই অবিলম্বে এই সামরিক মহড়া বন্ধ করতে বলেছে কিম জং উনের দেশ। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কথা না গুণেই মহড়া অব্যাহত রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই বুধবার সকালে একসঙ্গে ১০টি মিসাইল ছুড়লো উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়ার উপক‚লীয় এলাকা ওনসান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল তিন ধরনের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি। পরবর্তীতে জেসিএস জানায়, সবমিলিয়ে কয়েক ধরনের ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। রয়টার্স, বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তর কোরিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ