নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পার্থে আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত ব্যাট করার সময় এক টুইটারে হতাশা প্রকাশ করেন শোয়েব আখতার। তাতে মিশে ছিল অভিযোগও। সরাসরি কিছু না বললেও সুরটা তেমনই ছিল, ‘আমি বলেছিলাম পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটি ভারতের জেতা উচিত। তারা তো পাকিস্তানকে শেষ করে দিচ্ছে। চার ব্যাটার আউট হয়ে গেল!’
পাকিস্তানের সাবেক এই ফাস্ট বোলার কথায় রাখঢাক রাখলেও দেশটির আরেক সাবেক ক্রিকেটার কিন্তু মনের ক্ষোভ গোপন রাখেননি। সেলিম মালিক স্পষ্ট করেই বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইচ্ছা করেই হেরেছে ভারত।
পাকিস্তানের সাবেকদের এমন ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার কারণ, গতপরশু ভারতের হারে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে পড়া। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন রোহিত শর্মারা। এখনো দুটি করে ম্যাচ গ্রুপের বাকি সব দলের। পাকিস্তানকে শুধু শেষ দুটি ম্যাচ জিতলেই হবে না, অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। সেখানেও সমীকরণগুলো সহজ নয়। নেদারল্যান্ডসের শেষ চারে খেলার আশা অবশ্য ভারতের এই হারেই শেষ হয়ে গেছে। ডাচরা এখন পারবে শুধু অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে। গ্রুপ ২ থেকে সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণে ভালোভাবেই টিকে আছে বাংলাদেশসহ অন্য চারটি দল।
তবে ভারতের প্রশ্নবিদ্ধ ঐ হারে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের সমর্থকেরাও সেলিম মালিকের মতো সুর তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পাকিস্তানের উর্দু ভাষার টিভি চ্যানেল ‘২৪ নিউজ এইচডি’কে দেশটির সাবেক অধিনায়ক মালিক বলেছেন, ‘ভারত কখনো চাইবে না পাকিস্তান এগিয়ে যাক।’ এ সময় অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ তখন সেলিম মালিকের কাছে জানতে চান, ‘আপনি এটাই মনে করেন?’ ফিক্সিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়া সেলিম মালিক মুচকি হেসে সম্মতি জানান।
এদিন পার্থ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছিল ভারত। তাড়া করতে নেমে ডেভিড মিলার (৫৯) ও এইডেন মার্করামের (৫২) ফিফটিতে ২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম ৩৫ রানে থাকতে তার সহজ ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা মিলারকে রান আউট করার একটি সুযোগও নষ্ট করেন। ভারতের ফিল্ডিংকে ধুয়ে দিয়ে মালিক বলেছেন, ‘ভারত আজ একটু ভালো ফিল্ডিং করলেই ম্যাচটা জিতে যেত। ভারতের বাজে ফিল্ডিংটাই সবচেয়ে খারাপ লেগেছে। এসব তো সহজ ক্যাচ। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বৈরথ সব সময়ই আছে। শুরুতে ফিল্ডিংয়ে ভারতের অনেক আগ্রহ থাকলেও সেটি মানসম্পন্ন হয়নি। আর আমি মনে করি ভারত পাকিস্তানকে পছন্দ করে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।