পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের উদ্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা জানান। তিনি বলেন, আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির যে উদ্যোগ আমরা দলের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, যদি আদালত স্বাধীন হয়, ন্যায়-বিচার নিশ্চিত থাকে। সরকার তার আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই সেটা করছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্ট তাদের যে চাহিদা, তারা যেভাবে বলছেন, সেভাবে সরকার এবং প্রেসিডেন্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত, সেই আদালত যাতে নিজ শক্তিতে স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত হতে পারে- যে উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্ট নিয়েছেন, সেটা নিশ্চিত তারা করবেন- আমরা দলের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি করছি। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রিজভী বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য শৃঙ্খলাবিধিমালা প্রণয়নের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে চিঠি দিয়েছিলো, সরকার সেটা করেনি। প্রেসিডেন্টের অজুহাত দিয়েছে। আজকে (সোমবার) মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে ভুল বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রশাসন ও আমলারা তারা ভুল বুঝিয়ে যে উত্তরটি আদালতকে দিয়েছেন, সেটা তারা ঠিক দেননি।
এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতাকে ক্ষুণœ করা হচ্ছে শুধুমাত্র, যে সরকার নিজের প্রভাব বলয়কে বিস্তার করার জন্য। এই ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরে মহামান্য প্রধান বিচারপতি বলে এসেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা, বিচার বিভাগের দ্বৈত যে শাসন ও হস্তক্ষেপ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিলেও সর্বোচ্চ আদালত অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করতে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিলেও সর্বোচ্চ আদালত অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করতে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক সোমবার আদালতের তলবে হাজির হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আট বিচারকের আপিল বেঞ্চ বলেছে, বিধিমালা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে ভুল বোঝানো হয়েছে।
বার বার সময় দেয়ার পরও সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার সকাল ৯টায় তাদের আদালতে হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।