গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চ্যান্সারিতে "কাশ্মীর কালো দিবস" পালনের উদ্দেশ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের লোকজন, শিক্ষাবিদ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
পাকিস্তানের ড. আরিফ আলভি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ নিজেদের বাণীতে ভারতের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে অবিচল সংগ্রামের জন্য সাহসী কাশ্মীরিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারত কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর, আইআইওজেকে-এর জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন এবং কাশ্মীরি ভাই ও বোনদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী এই বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরের প্রতি পাকিস্তানের অটল সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইনস্টিটিউট অফ কনটেম্পরারি ইসলামিক থট এর পরিচালক এবং "ফ্রেন্ডস অফ কাশ্মীর, কানাডা" এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আহ্বায়ক জাফর বঙ্গশ কাশ্মীর বিরোধের আইনি এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, ২৭ অক্টোবর ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭৫ বছর আগে এ দিন ভারত জোরপূর্বক এবং অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে তার সৈন্য লেলিয়ে দিয়েছিল। এসময় মানবাধিকার আইনজীবী এবং "জাস্ট পিস অ্যাডভোকেটস"-এর নির্বাহী পরিচালক মিসেস কারেন রডম্যানও এই বিরোধের মানবিক দিকগুলি নিয়ে কথা বলেন এবং ভারত সরকার কর্তৃক জনতাত্ত্বিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সতর্ক বিশ্ব সম্প্রদায়কে করেন৷
হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী তার সমাপনী বক্তব্যে পাকিস্তানের শাসন নেতৃত্বের বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইআইওজেকে-এর জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে পাকিস্তানের সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেন। তিনি আইআইওজেকে-তে চলমান নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দীর্ঘস্থায়ী কাশ্মীর বিরোধের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থাগুলিকে ভূমিকা পালনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবীণ হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জীবন, সংগ্রাম এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়। হাইকমিশন আইআইওজেকে-তে ভারতীয় নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরে একটি ফটো প্রদর্শনীরও আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং আইআইওজে-এর নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।