পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : রাজধানীর গুলশান থেকে আবরার আহমেদ খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক এবং পরে মুক্তিদানের বিষয়ে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে দেয়া বিবৃতিতে পাকিস্তান হাইকমিশন জানিয়েছে, আবরার আহমেদ খান পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস সেকশনে ২০১১ সালের জুলাই থেকে সহকারী ব্যক্তিগত সচিব পদে কর্মরত আছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে চার থেকে পাঁচজন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি তাকে গুলশান দুই নম্বরে আগোরার সামনে তার বাসার কাছ থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে চারজনের গায়ে ‘ডিবি’ লেখা জ্যাকেট ছিল। ওই সময়ে আবরার হাঁটছিলেন। ওই ব্যক্তিরা আবরারকে তুলে নিয়ে একটি সিলভার রঙের গাড়িতে ওঠায়। নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যক্তিরা তারপর তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে জোর করে ঢোকেন। তারা তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আবরারকে সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তি দেয়া হয়। তিনি ফিরে হাইকমিশনে জানান, তাকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল এবং চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাকে এ অবস্থায় একটি চলমান ভ্যানে চার ঘণ্টার বেশি সময় রাখা হয়। তারপর তাকে গুলশান থানায় নেয়া হয়। ডিবির লোকেরা তাকে পাঁচ কোটি টাকা দেয়ার জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিতে থাকে। এটা না করলে তাকে ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে বলে বলা হয়। তাকে ক্রসফায়ারের হুমকিও দেয়া হয় এবং তারপর তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
পাকিস্তান হাইকমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান হাইকমিশন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং তার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, হাইকমিশন তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানির প্রবণতা দেখতে পাচ্ছে যা বিরক্তিকর। তারপর আবার তার বিরুদ্ধে অপবাদের প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।