পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, পুতুল নাচ দিয়ে গণসমাবেশ ঠেকানো সম্ভব না। মানুষ সমাবেশে আসছে। কিন্তু সরকার পরিবহন মালিকদের দিয়ে ধর্মঘট ডেকে আমাদের সমাবেশ থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। এতে লাভ নেই বরং আগের তুলনায় আরও বেশি লোকসমাগম হবে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর কালেক্টরেট ইদগাহ মাঠে গণসমাবেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারীর দায়িত্বে রয়েছেন। এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ তো মনে করে গণতন্ত্র মানে শুধু আওয়ামী লীগ আর বাকশাল। তারা মনে করে শুধু তারাই গণতন্ত্রের ধারক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগই তো বাকশাল কায়েম করছে। তবে মনে রাখবেন সূর্য যখন উঠেছে সূর্যাস্তও কিন্তু সন্নিকটে। তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বুকে গুলি খেয়ে জীবন দেয়। আর তাদের নেত্রী বলে আন্দোলন করলে চা খাওয়াবেন। কিন্তু তিনিতো আমাদের রক্ত দিয়ে আতিথেয়তা করলেন। এই হলো তাদের আদর্শ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেভাবে কথা বলেন, তাতে ছোটবেলার সার্কাসের কথা মনে পড়ে যায়। সার্কাসে মানুষ হাসানোর জন্য যেমন একজন জোকার থাকে, এখন ওবায়দুল কাদের সেই জোকারে পরিণত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নাকি খেলা দেখাবে, তাদের মুখে তো এসব কথা মানায় না। রংপুরের গণসমাবেশে লাখ লাখ নেতা-কর্মী যেভাবে আসতে শুরু করেছে তাতে তো আমরা দেখছি ১০ লাখেরও বেশি লোকের সমাগম হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে যেভাবে কষ্ট করে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে আসছেন, আর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের থাকার জায়গায় যেভাবে হয়রানি করছে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা সব বাধা উপেক্ষা করে একদিন আগেই সমাবেশস্থল এসেছেন। কাল সকাল হবার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে মাঠ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৯ অক্টোবর রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গণসমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।