Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি প্রযুক্তি চুরির অভিযোগে বিভিন্ন দেশে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধের হিড়িক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৯:২০ পিএম

গুপ্তচর বৃত্তি ও বিদেশি প্রযুক্তি চুরির অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে চীনা স্মার্ট ফোন ও এর সংক্রান্ত প্রযুক্তি প্রস্তুতকারী জায়ান্ট হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন। কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ হুয়াওয়ের স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ করেছে এবং আরও কয়েকটি দেশে এই কোম্পানির ফোন নিষিদ্ধের পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও তাইওয়ান হুয়াওয়ের স্মার্টফোন নিষিদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কোম্পানির যাবতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ফোন নিষিদ্ধের পাশাপাশি নিজেদের দেশে ফাইভ জি প্রযুক্তিতে হুয়াওয়ের অংশগ্রহণ ও নেটওয়ার্ক ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য।
কানাডা অবশ্য এখনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি তবে বিষয়টি নিয়ে সে দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
তবে জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, সুইডেন, বেলজিয়ামসহ কয়েকটি দেশের সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীন বাজারে হুয়াওয়ের ফোন নিষিদ্ধের আলোচনা চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের অভ্যন্তরীন বাজারে এখনও হুয়াওয়ের ফোন নিষিদ্ধ না করা হলেও গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে এ কোম্পানির ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দু’টি দেশের সরকার।
সেই সঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানির ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতিও এখন পর্যন্ত হুয়াওয়েকে দেয়নি এ দুই দেশের সরকার।
তবে ইতালি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও রাশিয়ার সরকার জানিয়েছে, হুয়াওয়ে কোম্পানির কোনো আচরণ এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়নি এবং এই কোম্পানির স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনাও আপাতত তাদের নেই।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হুয়াওয়েকে তাদের ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। মামলার অভিযোগপত্রে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি ও মার্কিন প্রযুক্তি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য চুরির দাবি করেছে দেশটির সরকার।
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী চীনা ধনকুবের রেন ঝেংফেই অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন অভিযোগকারী কোনো দেশ যদি গুপ্তচর বৃত্তিবিরোধী চুক্তিপত্র প্রস্তুত করে, সেক্ষেত্রে তার কোম্পানি সেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে আগ্রহী।
হুয়াওয়ে নিয়ে বিভিন্ন দেশের অবস্থান একটি গ্রাফিক্স চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এই চিত্রে লাল রং চিহ্নিত অঞ্চলগুলোতে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, গাঢ় গোলাপি রং চিহ্নিত অঞ্চলগুলোতে এই কোম্পানির ফোনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আলোচনা চলছে।
এছাড়া হালকা গোলাপি রং চিহ্নিত এলাকাগুলোতে এখনও হুয়াওয়ের ফোন নিষিদ্ধ হয়নি এবং সবুজ রং চিহ্নিত দেশগুলো তাদের ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে হুয়াওয়েকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুয়াওয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ