পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চবি সংবাদদাতা : রহস্যজনকভাবে নিহত চবি ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও স্নাতক সার্টিফিকেট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানাযায়। পরিবারের দাবি, দিয়াজকে হত্যা করে এই সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে গিয়েছিল হত্যাকারীরা।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় পরিচ্ছন্নকর্মী হলের ডাইনিং পরিষ্কার করতে গেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় দিয়াজের সার্টিফিকেট দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্টিফিকেট সমূহ উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জমা দেয়।
এ ব্যাপারে দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা বলেন, গত ২৯ অক্টোবর রাতে আমাদের বাসায় হামলা চালিয়ে টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের বেশকিছু সার্টিফিকেট নিয়ে যায় চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমার ছোটভাই মিরাজ ইরফানের সাক্ষাৎকারের জন্য বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটটি দরকার ছিল।
দিয়াজ আমাকে জানিয়েছিল, টাকার বিনিময়ে চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক স¤পাদক ইমতিয়াজ অভি দিয়াজকে সার্টিফিকেগুলো ৮ নভেম্বরের দিকে ফেরত দিয়েছে। এজন্য দিয়াজ আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নিয়েছিল। মিরাজের সাক্ষাৎকার স¤পন্ন হওয়ার পর থেকে সার্টিফিকেটগুলো বাসায় ছিল। কিন্তু দিয়াজের মৃত্যুর দিন ২০ নভেম্বর থেকে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের স্নাতকের সার্টিফিকেট আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দিয়াজকে হত্যা করে এই দুটি সার্টিফিকেট হত্যাকারীরা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা সার্টিফিকেট দুটি অফিসে নিয়ে আসি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর রাতে চবি ক্যাম্পাস এর ২ নং গেইট এলাকায় নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের লাশ উদ্ধার করা হয়। চবিতে নির্মাণ কাজের জন্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ষড়যন্ত্র করে দিয়াজকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি তার পরিবারের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।