Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রাতিষ্ঠানিক গ্রন্থাগারগুলো সচল রাখতে হবে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি রুটিনে লাইব্রেরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর এটা বাস্তবায়ন করতে নিবিড় পরিদর্শনের জন্য জেলা শিক্ষা ও উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুরোধও করা হয়েছে। দুঃখজনক যে এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে অস্তিত্বহীন পাঠাগারের তেলেসমাতি কর্মকান্ডের চিত্রই শুধু ফুটে ওঠে। কিছুদিন আগে পত্রিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে চোখ তো চড়কগাছ এবং যথেষ্ট হতাশ না হয়ে পারলাম না। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোর বেহাল দশায় যেন নিয়মিত ঘি ঢালা হচ্ছে আরো বেহাল করার জন্য। বেশ কিছু প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ঠিক এরকম ধুলাবালিতে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই, কাজে আসছে না পাঠাগার, বই আছে পড়াশোনা নেই, গ্রন্থাগারিক আছে পাঠাগার নেই, পাঠাগার কক্ষ তালাবদ্ধ, গুদামঘরে পাঠাগার, কাগজে পাঠাগার অযথা খরচ, পাঠাগার যেন স্টোর রুম। এ ঘটনাগুলো দিনাজপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের চিত্র। কিন্তু পর্যবেক্ষণ বলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির দশা ঠিক এ রকমই। তাহলে কি আমরা আমাদের জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছি? অথচ, ১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতি এক নির্দেশনামা জারি করে। তাতে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার একাডেমিক স্বীকৃতিদানের শর্তাবলির অন্যতম হলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০০০ কপি বই থাকতে হবে। আরও বলা হয়েছে যে, গ্রন্থাগার ভবন ছাড়া বিদ্যালয় ও কলেজেকে স্বীকৃতি দেয়া যাবে না। এতসব নিয়ম-কানুন থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা লাইব্রেরিকে গুরুত্বের সাথে লালন করছি না, কেনই বা আমরা অবহেলায়, অযত্নে, অনীহায় কালের আস্তাকুঁড়ে আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরিকে নিক্ষেপ করছি। কেন আমরা জাতিকে আজও বুঝাতে সক্ষম হচ্ছি না যে, লাইব্রেরি আর বই বিতান এক জিনিস নয়। লাইব্রেরিকে বলা হয় জ্ঞানের আঁধার। এর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে না পারলে জ্ঞানের বিকাশ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই, আবারও পাঠাগার আন্দোলনে আমাদের বদ্ধপরিকর হতে হবে। তা না হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পরিণত হবে জ্ঞানহীন এক প্রযুক্তিসর্বস্ব সত্তায়।

মো. ইউনুস আলী
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাতিষ্ঠানিক গ্রন্থাগারগুলো সচল রাখতে হবে
আরও পড়ুন