Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ১৬ বছরের আক্ষেপ ফুরোল টাইগাররা, নায়ক তাসকিন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ২:০১ পিএম | আপডেট : ৩:০৯ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দারুণ জয় পেয়েছে টিম টাইগাররা। সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় নেদারল্যান্ডকে ৯ রানে হারায় সাকিব আল হাসানের দল। এ জয়ের ফথে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আরেকটি আক্ষেপ ফুরোল লাল-সবুজের দলের।

সেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ৬টি আসর হয়ে গেলেও মূল পর্বে আর একটি জয়ও ধরা দেয়নি। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। 

বল হাতে পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ১৫ রানে নেন দুটি উইকেট।


হোবার্টের বেলারিভে স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেয়া ১৪৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। দলটির বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে কলিন অ্যাকারম্যান সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। ৪৮ বলে তার ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা রয়েছে। এছাড়া স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক) করেন ১৬ রান। আর কোন ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।


এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের শুরু করেন সৌম্য সরকার, দুই বাউন্ডারি থেকে নেন ১২ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে এসে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকান শান্ত। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে প্রথম ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের।


ভ্যান মেকেরেনের করা দ্রুতগতির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন সৌম্য। দুই চারে ১৪ বলে ১৪ রান করেন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে শান্তকেও হারায় বাংলাদেশ। এবার সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন শান্ত। ৪ চারে ২০ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি লিটন দাসও। ১১ বলে ৯ রান করে ভ্যান বিকের বলে টম কুপারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে। ৯ বলে ৭ রান করে শারিজের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। মাত্র ২০ রানের ভেতর চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেটি আরও বাড়ে ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরলে।

এরপর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন। দারুণ কিছু বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ, মাঝে প্রিঙ্গেল তার ক্যাচও ছাড়েন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।

 

তবে বাংলাদেশের রানের ভিতটা শক্ত করেন মূলত মোসাদ্দেক হোসেন। আট নম্বরে নামা এই ব্যাটার ২ চার ও ১ ছক্কায় ১২ বলে করেন ২০ রান। ডাচদের পক্ষে দুই উইকেট করে নিয়েছেন পল ভ্যান মেকেরেন ও ভাস ডি লেডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি ২০ বিশ্বকাপ

১০ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ