Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চান আওয়ামী লীগ নেতা

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচন রাজের ভয়ে রাজ্য হারা, ঘর ছাড়া জনপ্রতিনিধিরা

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যপকভাবে টাকা ছড়ানোর ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের চেয়ে সদস্য পদে বেশি পরিমাণে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ভোটে দাঁড়িয়ে ফরিদুর রহমান ফারুক সদস্য প্রার্থী ব্যপকভাবে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে একটি ভোটও পাননি।

এই ঘটনায় তিনি অখুশি নন জানান, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন টাকা ছাড়া ভোট পাওয়া যাবেনা। অন্যদিকে বগুড়া সদর আসনে সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অর্থ খরচ হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। এই আসনে সদস্য পদে জয়ের জন্য বিপুল পরিমাণের অর্থ ব্যয় করেও পরাজিত হন মাহফুজুল ইসলাম রাজ।
তিনি বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কোটি টাকা খরচ করে পান ৪২ ভোট। অপরদিকে এই আসনের বিজয়ী সদস্য আ. লীগ নেতা সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু বিজয়ী হয়েছেন ১০৬ ভোট পেয়ে। পরাজয়ের কয়েকদিন পরেই শোক কাটিয়ে মাহফুজুল ইসলাম রাজ রাজার মত গর্জে উঠে যারা তার কাছে টাকা নিয়েও ভোট দেননি তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন। রাজের হুংকারে বাড়ি ঘর ছেড়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

হুমকিতে ঘরছাড়ার কথা স্বীকার করে বগুড়ার শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসলের ইউপি সদস্য মাহমুদা বেগম বলেন, ভোটের আগে জোরাজোরি করে টাকা দিয়ে গেল। এখন ভোটে হারের পর টাকা ফেরত চাচ্ছে। ওই টাকাতো খরচ হয়েগেছে। আমরা গরীব মানুষ ওই টাকা এখন কোথায় পাবো।
একই ইউনিয়ন পরিষদের আরেক নারী সদস্য বলেছেন, রাজ সাহেবের লোকেরা টাকা দিল গোপনে এখন সুদারুদের মত প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে টাকা ফেরত চাচ্ছে। আমাদেরতো মান সম্মানতো আর থাকলোনা।
এবিষয়ে মাহফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, ভোটের আগে কিছু সম্মানী বিভিন্ন জনের মাধ্যমে বিতরণ করি। আমার পক্ষ থেকে যারা ভোটারদের সম্মানী দিয়েছেন তারাই হয়তো নিজেদের বিবেকের তাড়নায় টাকা ফেরত চেয়ে থাকতে পারে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রুমি রাজের পক্ষে তার পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ভোটের টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে চেয়ারম্যান রুমি বলেন, কে আমার কাছে টাকা পেয়েছে, আবার আমি কার কাছে টাকা ফেরত চেয়েছি সামনে এসে বলুকনা?

এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে বেশকয়েকজন ইউপি সদস্য তাদের পরিচয় গোপনের শর্তে বলেন, কোটিপতি আওয়ামী লীগ নেতার চাল চলন রাজার মত। বগুড়া সদর উপজেলাকে তিনি তার রাজ্য বলে মনে করেন। যখন তখন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ অন্যান্যদের কটু কথা বলেন। দুর্ব্যবহার করেন সবার সাথে।
সেকারণেই আমরা ভয়ে অনেকেই রাজ্যহারা হয়ে গোপনে অবস্থান করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ