বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৭ জনের জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন ১৭ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যের মোট ১৩ পদের বিপরীতে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ১৭ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ১৮৫টি। এরমধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল পেয়েছেন ৭ ভোট। অপর প্রার্থী আফজাল হোসেন পেয়েছেন ৪ ভোট। এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এদিকে সাধারণ সদস্য পদে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গোলাপ হোসেন ১৩ ভোট, রেজাউল করিম ৬ ভোট, ৬ নম্বর ওয়র্ডে শিরিনা পারভীন ৩ ভোট, আব্দুর রশিদ ২৪ ভোট, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাইনুল ইসলাম ২ ভোট, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলতাফ হোসেন ৫ ভোট, শাহিন আলম শূন্য ভোট ও শেখ আব্দুস সালাম শূন্য ভোট পাওয়ার কারণে নিজের জামানত হারিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসন-১ এ সাইদা ইয়াসমিন লোনা ২৬ ভোট, সংরক্ষিত আসন-২ এ নাসিমা বেগম ৩৭ ভোট, একই ওয়ার্ডে তার সতীন ফিরোজা খাতুন ৩৩ ভোট, লাল বানু ১৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত আসন-৩ এ ফারজানা ইয়াসমিন সাথী ৪ ভোট, ময়না খাতুন এক ভোট ও মঞ্জুয়ারা বেগম ৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে যদি কোনো প্রার্থী আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান, তবে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ আইনেই ১৭ জন জামানত হারিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।