Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিয়াজের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

শরীরে আঘাতের চিহ্ন

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চবি সংবাদদাতা : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও চবি সাবেক নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ এ তথ্য জানান। তবে পূর্ণ প্রতিবেদন ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই তৈরি করা হবে বলে তিনি বলেন।  
জানা যায়, আত্মহত্যা, না হত্যা- এ প্রশ্ন ওঠায় আদালতের নির্দেশে গত শনিবার কবর থেকে দিয়াজর লাশ তুলে আবারও ময়নাতদন্ত এর জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্ত শেষে করেছি। দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, দিয়াজের ভিসেরা, দাঁত ও গলার টিস্যুর হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা হবে। ওই প্রতিবেদন আসার আগেই তারা চট্টগ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগের তদন্তের বিষয়ে কথা বলতে হবে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন ডা. প্রবীর বিশ্বাস ও ডা.কবীর হোসেন। দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম ময়নাতদন্তে আঘাতের কোনো চিহ্নের কথা ছিল না। এবার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে আশা করি।
এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবার। দিয়াজের বোন আইনজীবী জুবাইদা সারোয়ার চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে এক নেতার নির্দেশে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করা হয়েছে।
খুন করে দিয়াজকে  ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি করে গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আর আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে  তদন্তের দায়িত্ব দেয় সিআইডির উপর। এরপর তদন্তের দায়িত্বে আসা সিআইডি পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন জানালে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে তাতে সায় দেন এবং  ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষকদের দিয়ে তা করাতে নির্দেশ দেয় আদালত।
তার প্রেক্ষিতে দাফনের ২০ দিন পর দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। গত শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম সরদারের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন  করা হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ষড়যন্ত্র করে দিয়াজকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি তার পরিবারের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ