Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এক শহরে আবারো সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:২৭ পিএম

একটি শক্তিশালী ইসলামি গোষ্ঠী, তুর্কি-সমর্থিত মিলিশিয়াদের কাছ থেকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি শহর দখল করার কয়েক দিন পর সেখানে ও তার আশপাশের এলাকায় আবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সোমবার আফরিন শহর ও তার আশপাশের এলাকায় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং থার্ড লিজিয়ন বা আল-শামিয়া ফ্রন্ট নামে পরিচিত একটি তুর্কি-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এইচটিএস একটি প্রধান ইসলামপন্থী গোষ্ঠী। যারা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। পূর্বে তারা আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই গোষ্ঠীটি সিরিয়ায় আল-কায়েদার প্রধান সহযোগী ছিল। তারপর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক উগ্রবাদী সংগঠনটির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অবজারভেটরি জানায়, সোমবার সংঘর্ষ চলাকালীন এইচটিএস যোদ্ধারা কাছের শহর আজাজের কাছাকাছি আরেকটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লড়াইয়ে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্র বলেছে, চলমান লড়াইয়ের ফলে আফরিন ও আজাজের মধ্যে প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। যে সব স্থানীয় বাসিন্দা সহিংসতা থেকে বাঁচতে চায়, তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধা দিয়েছে।
যদিও অধিকার গোষ্ঠীগুলো আফরিনে তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, শহরটিতে এইচটিএস-এর দখলদারিত্ব স্থানীয়দের জন্য পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলতে পারে।
আফরিনে মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, এইচটিএস-এর আফরিন দখলের পরপরই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি স্থানীয় জনগণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যার মধ্যে নারীদের ওপর একটি ইসলামিক পোষাক বাধ্যতামূলক ছিল। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ