বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একটি আসনে নির্বাচন করতে এই অবস্থা হলে ৩০০ আসনের কী হবে এই প্রশ্ন এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকাল বুধবার (১২ অক্টোবর) গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নানারকম অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বন্ধ করলে শুরু হয় নেটিজনদের এ বিতর্ক।
ইমন শেখ নামে একজন ফেসকুকে লিখেছেন, একটি আসনেই সামলাতে পারতেছেন না। তাহলে ৩০০ আসন কীভাবে সামলাবেন। আপনাদের কথা পাগলেও শুনলে হাসে।
মো. আব্দুল আউয়াল নামে একজন লিখেছেন, অনিয়মের সঙ্গে তো প্রায় বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও পুলিশ আনসার জড়িত। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যদি তারা থাকে, তাহলে পারলে তাদের চাকরিচ্যুত করে দেখান। এটা যদি না করতে পারেন, তাহলে তারা কীসের আপনাদের অধীনে থাকে।
এস এম মনির নূর নবী নামে একজন লিখেছেন, আপনারা যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারেন তাহলে আপনারা পদত্যাগ করুন।
মো. আব্দুস সাত্তার নামে একজন লিখেছেন, আপনাদের এখন পদত্যাগ করে প্রতিবাদ করা উচিত। আর আপনি ইভিএমের গান জনগণকে শুনানো পরিহার করুন। কারণ ইভিএমে ভোট হোক এটা আ.লীগ ছাড়া আর কেউ চায় না।
রিফাত আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, সবই নির্বাচন কমিশনের তামাশা! যারা একটা কেন্দ্র ঠিকমতো কন্ট্রোল করতে পারে না, তারা কি করে জাতীয় নির্বাচন কন্ট্রোল করবে? সব লোক দেখানো জজ মিয়ার নাটক।
নাঈম ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, এটা নির্বাচন কমিশনের পাতানো নাটক। আর কিছুই না। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব না, এ নির্বাচনের মাধ্যমেই আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
শিবলু নামে একজন লিখেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
মঈন উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, সরকার আর নির্বাচন কমিশন মিলে একটা টোপ ফেলছে। যাতে এই নির্বাচন কমিশনার উপরে আস্থা রেখে সকল রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এটা সরকারের পাতানো ফাঁদ।
মো. রাসেল নামে একজন লিখেছেন, নাটক বন্ধ করুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
সুমন চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, সব কিছু নাটক, একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এর আগে দুপুর পর্যন্ত মোট ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নানা অনিয়মের কারণে বন্ধ করা হয়। এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্র।
সকালে সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি দেখে সিইসি বলেছিলেন, ’ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।