যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
রসুন একটি মসলাই শুধু নয়, এর একাধিক ঔষধী গুণ রয়েছে এ কথা কম বেশি সবার জানা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটি পুরাকাল থেকে ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাছাড়া রসুনের জীবাণু ও কীটনাশক গুণ রয়েছে । মূলত মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হলেও রসুনের পুষ্টি গুণ কম নয়। উচ্চ রক্তচাপে রসুন খুব উপকারী একথা গবেষণায় প্রমাণ করেছেন জার্মান চিকিৎসকরা। রক্তের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে রসুনের ভূমিকা কার্যকরী এসেজন্য তারা উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রসুন খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাতের ব্যথায় বা কোনো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সরষের তেলে রসুন গরম করে মালিশ করলে ব্যথা লাঘব হয়। দাঁতের ব্যথায় রসুন ব্যবহারে ব্যথা কমে যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রসুনের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, রসুনের রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ নিরাময়ে দু›টি গুণ রয়েছে।
সম্পতি গবেষণায় জানা গেছে, রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী, ছত্রাকরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক। ইকোলাই এবং টাইফয়েড জীবাণু ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা রাখে রসুন।
রসুন খেলে অন্ত্রে পাচক রস নিঃসরণ বেশি হয় যা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আমাশয় রোগে রসুন খেলে অন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস হয়ে পেটের সমস্যা নিরাময় হয়। চামড়ায় আক্রান্ত ক্ষত স্থানে কাঁচা রসুনের রস লাগালে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস দ্রুত নিরাময় করে। পুরনো কাঁশি বা ব্রংকাইটিসে নিয়মিতভাবে কাঁচা রসুন খেলে শ্বাসতন্ত্রে জমে থাকা কফ বের করে দ্রুত আরোগ্য করে। যারা নিয়মিত রসুন খান তাদের খাবারে রুচি বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত রসুন খাবার ফলে তার শিশুর দুধ খাবার আগ্রহ অনেকখানি বেড়ে যায় এবং দীর্ঘসময় ধরে দুধপান করে থাকে। পায়ের তলায় কড়া নিরাময়ে রসুনের আছে অসাধারণ ক্ষমতা। কাঁচা রসুনের কোয়া কুচি করে কড়ার ওপর বসিয়ে আটকে দিলে সপ্তাহ খানেক পরে দেখা যাবে কড়া অনেকটা নরম হয়ে গেছে এবং ব্যথা লাঘব হয়। রসুনের গুণের শেষ নেই । প্রতিদিন কয়েক কোয়া রসুন খাবার অভ্যাস করুন, কাঁচা খেলে ভালো। অগোচরে অনেক শারীরিক সমস্যা এমনিতে সেরে যাবে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।