পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চবি সংবাদদাতা : দাফনের ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম সরদারের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডিরা সকাল সাড়ে সাতটায় কবর থেকে দিয়াজের লাশ তোলার কাজ শুরু করে। আটটার দিকে লাশ তোলার পর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন তারা। এর পর দিয়াজের লাশ সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
এ সময় উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম সর্দার উপস্থিত থাকা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আদালতের নির্দেশে দিয়াজের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশে দিয়াজের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসি বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিজ বাসায় দিয়াজকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবার।
দিয়াজের বোন আইনজীবী জুবাইদা সারোয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে এক নেতার নির্দেশে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করা হয়েছে।
খুন করে দিয়াজকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আর আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তের দায়িত্ব দেয় সিআইডির উপর। এরপর তদন্তের দায়িত্বে আসা সিআইডি পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন জানালে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে তাতে সায় দেন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষকদের দিয়ে তা করাতে নির্দেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, ক্যা¤পাসের ওই বাসায় মাসহ থাকতেন দিয়াজ। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন্য ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ষড়যন্ত্র করে দিয়াজকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি তার পরিবারের।
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে যে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় তাতে ছাত্রলীগ নেতা টিপু ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাযলয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।