Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় নারী সহ ধরা পড়া পিআইও কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে ফ্লাট বাসীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ৪:৩৯ পিএম

বগুড়ার অভিজাত আবাসিক প্রকল্প ভান্ডারী সিটি টাওয়ার থেকে নারী সহ ধরা পড়া পিআইও পদবীধারী এক কর্মকর্তা কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে ফ্লাটবাসীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবস্থার প্রেক্ষিতে গত ৯ অক্টোবর রাতে বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ভান্ডারী সিটি টাওয়ার হাউজিং এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এক জরুরি সভায়
মিলিত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি নুর হোসেন নান্নু। সভার আলোচ্যসুচি সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য জানান, পিআইও পদবীধারী সরকারি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী রনি, আসাদুজ্জামান, হাসিবুল হাসান,
ও শাহরিয়ার মাহমুদ সহ ভান্ডারী সিটি টাওয়ারে
আরিফুলের মালিকানাধীন নিজ ফ্লাটে এক নারীকে নিয়ে ফুর্তি করার সময় পুলিশের হাতে
গ্রেফতার হন।
ফ্লাটবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবর রাতে ফুলবাড়ি ফাঁড়ির এসআই মজিবর রহমান তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যান। পরদিন পুলিশ তড়িঘড়ি করে আটককৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে এবং আটককৃত কমবয়সী নারী মাকসুদা আকতারের মেডিকেল টেস্ট না করেই ২৯০ ধারায় সবাইকে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তারা কোর্টে জরিমানা দিয়ে
মুক্ত হন।
কোর্ট থেকে মুক্ত হয়েই আরিফুল তার সহযোগীদের নিয়ে ফ্লাটে চলে আসেন এবং কে
কে কেন তাকে সহ তার বন্ধুদের পুলিশে ধরিয়ে
দিয়েছে তা' জানতে চান। যারা তাদের ধরিয়ে দিয়েছে তাদেরকে তিনি দেখে নেবেন বলে হুমকি ধমকি দেন। আরিফুলের এই হুমকি ধমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
অনেকের মতে গ্রেফতার ৫ জনের মধ্যে তিনজনই সরকারি চাকুরে হওয়ায় পুলিশ মোটা
অর্থের বিনিময়ে তাদের সবাইকে পাবলিক নুইসেন্স এ্যাক্ট ২৯০ ধারায় কোর্টে পাঠিয়েছে যেন তারা সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়।
ঘটনার সময় আরিফুলের সাথে তার যে ৪ সহযোগী আটক হন তারা হলেন মোঃ রনি,শাহরিয়ার হোসেন, আসাদুজ্জামান ও হাসিবুল হাসান।
আটককৃতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম পাবনার বেড়া উপজেলায় পিআইও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার অন্য ৪ সহযোগীর মধ্যে ৩ জন সরকারি কর্মকর্তা বলে জানা গেছে তবে তারা কোনপদে কোথায় কর্মরত রয়েছেন তা' নিশ্চিত
হওয়া যায়নি।
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে এস আই মজিবর রহমান বগুড়া সদর থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। বগুড়া সদর থানার ওসি নুর আলমের
সাথে যোগাযোগ করার জন্য বারবার তার সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ