Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিনি সর্বকালের নবী সর্বজনের পথপ্রদর্শক

মুফতী আব্দুল হালীম কাসেমী | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রাচ্যবিদগণ তাদের লেখা বইপুস্তক ও বিভিন্ন লেখালেখিতে অবিরাম অপপ্রচার করছে যে, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আরবদের নবী। অন্য দিকে মুসলিম-অমুসলিম অনেক মানুষ মনে করে যে, তিনি শুধু মুসলমানদের নবী। প্রকৃতপ্রস্তাবে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) গোটা মানবজাতির নবী। এই কথার সাদাসিধে মর্মার্থ হলো, ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য তিনি প্রেরিত রাসূল। যত দিন পৃথিবী থাকবে এবং যে কেউ যেখানে জন্মগ্রহণ করবে, তার জন্য একমাত্র তিনিই সৃষ্টিকর্তার মনোনীত রাসূল। যে লোক এবং যে জাতি এই নবীকে মানে, তিনি তাদেরও নবী। যে বা যারা তাঁকে মানে না, তিনি তাদেরও নবী। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খিস্টানসহ যত জাতি-উপজাতি, সম্প্রদায়, কওম-গোষ্ঠী ও ধর্ম মতাবলম্বী আছে, তিনি সবার নবী। এই মহাসত্য কুরআন ও হাদীসের সূত্রে ঘোষিত মহান আল্লাহ্ তা’আলার স্বীকৃতি ও ফরমান। সময় ও স্থানের ব্যবধানে কোনো তারতম্য হবে না এই সত্যের। উলামায়ে কেরাম বলেছেন, তাঁর নবুয়তের কাল এত বিস্তৃত যে, হযরত আদম (আ.) এর নবুয়তেরও আগ থেকে এর আরম্ভ। অর্থাৎ তিনি নবীদেরও নবী। বিষয়টিকে সুস্পষ্ট করার জন্য কুরআন ও হাদীস থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হচ্ছে। পবিত কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তো আপনাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’ (সূরা সাবা, ৩৪ : ২৮)। ‘বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র রাসূল, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী।’ (আরাফ, ৭ : ১৫৮)। ‘কত মহান তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তিনি বিশ^জগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারেন।’ (ফুরকান, ২৫ : ১)

এসব আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর পূর্বে প্রেরিত পয়গম্বরগণের রেসালত ও নবুয়ত বিশেষ সম্প্রদায় ও বিশেষ ভূখণ্ডের জন্য সীমিত ছিলো। এটা শেষ নবীরই বৈশিষ্ট্য যে, তাঁর নবুয়ত সমগ্র বিশ্বের জন্য বিস্তৃত। কেবল মানবজাতিই নয়; জিনদেরও তিনি রাসূল। তাঁর রেসালত শুধু সমকালীন লোকদের জন্যই নয়; কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্যও বিস্তৃত। তাঁর রেসালত কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী ও অব্যাহত থাকাই এই বিষয়ের প্রমাণ যে, তিনি সর্বশেষ নবী, তাঁর পরে অন্য কোনো নবী প্রেরিত হবে না। কেননা, পূর্ববর্তী নবীর শরীয়ত ও শিক্ষা বিকৃত হয়ে গেলেই মানবজাতির পথপ্রদর্শনের লক্ষ্যে পরবর্তী নবী প্রেরিত হন। আল্লাহ্ তা’আলা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর শরীয়ত ও নিজ কিতাব কুরআনকে কেয়ামত পর্যন্ত হেফাজত করার দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেছেন। তাই এগুলো কেয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় থাকবে এবং অন্য কোনো নবী প্রেরণের আবশ্যকতা নেই।

বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হযরত জাবের (রা.) এর রেওয়ায়েতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেনে, আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্ববর্তী কোনো পয়গম্বরকে দান করা হয়নি। এক. আল্লাহ্তা’আলা আমাকে ভক্তিপ্রযুক্ত ভয় দান করার মাধ্যমে সাহায্য করেছেন। ফলে এক মাসের দূরত্ব পর্যন্ত লোকজনকে আমার ভক্তিপ্রযুক্ত ভয় আচ্ছন্ন করে রাখে। দুই. আমার জন্য সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে মসজিদ ও পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে। (পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণের শরীয়তে ইবাদত-বন্দেগী নির্ধারিত ইবাদতগাহ তথা উপাসনালয়েই হতো; ইবাদতগাহের বাইরে ময়দানে অথবা গৃহে ইবাদত হতো না। আল্লাহ্তা’আলা উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে এ অর্থে মসজিদ করে দিয়েছেন যে, তারা সর্বত্রই নামায আদায় করতে পারবে। পানি না পাওয়া গেলে কিংবা পানির ব্যবহার ক্ষতিকর হলে ভূপৃষ্ঠের মাটিকে পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করলে তা ওযুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়)। তিন. আমার জন্য যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হালাল করা হয়েছে। আমার পূর্বে কোনো উম্মতের জন্য এরূপ সম্পদ হালাল ছিলো না। (তাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো যে, যুদ্ধে কাফেরদের যে সম্পদ হস্তগত হবে, তা একত্রিত করে একটি আলাদা স্থানে রেখে দেবে। সেখানে আকাশ থেকে অগ্নি-বিদ্যুৎ ইত্যাদি এসে তা জ্বালিয়ে দেবে এবং জ্বালিয়ে দেওয়াই এ বিষয়ের আলামত হবে যে, এ জিহাদ আল্লাহ্তা’আলা কবুল করেছেন। উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য যুদ্ধলব্ধ সম্পদ কুরআন বর্ণিত নীতি অনুযায়ী বণ্টন করা ও নিজেদের প্রয়োজনে ব্যয় করা জায়েয করা হয়েছে)। চার. আমাকে মহাসুপারিশের মর্যাদা দান করা হয়েছে। (অর্থাৎ হাশরের ময়দানে যখন কোনো পয়গম্বর সুপারিশ করার সাহস করবেন না, তখন আমাকে সুপারিশ করার সুযোগ দেওয়া হবে)। পাঁচ. আমার পূর্বে প্রত্যেক পয়গম্বর তাঁর বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হতেন। আমাকে বিশ্বের সকল সম্প্রদায়ের প্রতি পয়গম্বর করে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বনবীর শ্রেষ্ঠত্বের কয়েকটি গুণ রয়েছে। একটি হলো, তিনি বিশেষ কোনো এলাকা, অঞ্চল, জাতি বা গোত্রের নবী নন। তিনি বিশ্বনবী ও সার্বজনীন নবী। (বিস্তারিত : সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৯৫; তাবারানী : আলমু‘জামুল কাবীর হাদীস : ৮০০১; বাইহাকী, হাদীস : ৯৬০; তিরমিযী, হাদীস : ১৫৫৩; নাসায়ী, হাদীস : ১৪৪০;; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২২১৯০)।

আরেক হাদীসে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, যে আমাকে মেনে নেয়নি সে ব্যতীত আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে। বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কে আপনাকে মানে না? তিনি বললেন, যে আমার অনুসরণ করলো, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আমার নাফরমানি করলো, সে আমাকে মেনে নেয়নি। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭২৮০)। এই হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যে, সবাই রাসূলের উম্মত। তবে যে তাঁকে অনুসরণ করেনি এবং তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করেনি, সে উম্মত হওয়ার সত্ত্বেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর কুদরতি হাতে আমার জীবন, যে লোক আমার আবির্ভাব সম্পর্কে শুনবে, তা সে আমার উম্মতের মধ্যে হোক কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টান হোক, যদি সে আমার ওপর ঈমান না এনে মারা যায়, তবে সে জাহান্নামে যাবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪০৩)

তিনি শুধু উম্মতেরই নবী নন, নবীগণেরও নবী:
আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেন ‘আর আল্লাহ্ যখন নবীগণের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোনো রাসূল আসেন তোমাদের কিতাব সত্য বলে দেওয়ার জন্য, তখন সে রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, তোমরা কি অঙ্গীকার করছ এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, আমরা অঙ্গীকার করছি। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাকো। আর আমিও তোমাদের সঙ্গে সাক্ষী রইলাম।’ (আলে ইমরান, ৩ : ৮১)। আল্লামা সুবকী রহ. বলেন, এই আয়াতে রাসূল বলে মুহাম্মাদ (সা.)কে বোঝানো হয়েছে। এমন কোনো পয়গম্বর অতিবাহিত হননি, যাঁর কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে অঙ্গীকার নেওয়া হয়নি। এমনিভাবে এমন কোনো পয়গম্বর অতিবাহিত হননি, যিনি নিজের উম্মতকে মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে ও সাহায্য-সমর্থন করতে নির্দেশ দেননি। যদি মহানবী (সা.) সে সব পয়গম্বরের আমলেই আবির্ভূত হতেন, তবে তিনিই সবার নবী হতেন এবং তাঁরা সবাই তাঁর উম্মত হতেন। এই হাদীসে ইরশাদ করেছেন, ‘আজ যদি মূসা (আ.) জীবিত থাকতেন, তবে আমার অনুসরণ করা ছাড়া তাঁরও গত্যন্তর ছিলো না।’ অন্য হাদীসে আছে, ‘যখন ঈসা (আ.) পৃথিবীতে অবতরণ করবেন, তখন তিনিও কুরআন এবং তোমাদের নবীর বিধি-বিধান পালন করবেন।’ (বিস্তারিত জানতে তাফসীরে ইবনে কাসীর দেখুন।)

এতে বোঝা যায় যে, মহানবী (সা.) এর নবুয়ত বিশ্বজনীন। তাঁর শরীয়তের মধ্যে পূর্ববর্তী সব শরীয়ত পরিপূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে। এই বর্ণনা থেকে ‘আমি সমগ্র মানবজাতির প্রতি প্রেরিত হয়েছি’, হাদীসের বিশুদ্ধ অর্থও ফুটে উঠেছে। মহানবী (সা.) এর নবুয়ত তাঁর আমল থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য, হাদীসের এরূপ অর্থ করা ঠিক নয়; বরং তাঁর নবুয়তের কাল এতো বিস্তৃত যে, হযরত আদম (আ.) এর নবুয়তের আগ থেকে এর আরম্ভ। এক হাদীসে তিনি বলেন, ‘আদমের দেহে আত্মা সঞ্চারের পূর্বেই আমি নবী ছিলাম।’ হাশরমাঠে বিশ^নবী (সা.) এর ‘শাফায়াতে কুবরা’ (মহাসুপারিশ) এর জন্য অগ্রসর হওয়া, তাঁর পতাকাতলে নবী-রাসূলগণসহ সমগ্র মানবজাতির একত্রিত হওয়া, মিরাজ রজনীতে বাইতুল মুকাদ্দাসে সকল পয়গম্বরের ইমামতি করা এবং নবীজীর আগমনের পূর্বে তার প্রতি তুব্বা বাদশাহ, হাবীব নাজ্জার, ওয়ারাকা বিন নওফল প্রমুখের ঈমান আনা, এসবই তাঁর বিশ্বজনীন নবুয়ত ও নেতৃত্বের অন্যতম লক্ষণ।

দ্বীন প্রচারের তিনটি স্তর: দ্বীন প্রচারের তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তর লো, নিকট আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে দ্বীন প্রচার করা। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, নিজ নিকট-আত্মীয়বর্গকে সতর্ক করুন’। (সূরা শুআরা, ২৬: ২১৪) দ্বিতীয় স্তর হলো, শহরের বাসিন্দাদের মাঝে দ্বীন প্রচার করা। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘যাতে আপনি মক্কা ও তার চতুষ্পার্শে¦র লোকদেরকে সতর্ক করেন।’ (সূরা আনআম, ৬: ৯২)। তৃতীয় স্তর হলো, সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মাঝে দ্বীন প্রচার করা। এটি হলো বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন আহ্বান। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, আল্লাহ্ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী এবং এই কুরআন আমার নিকট প্রেরিত হয়েছে যেন তোমাদেরকে এবং যার নিকট তা পৌঁছবে তাদেরকে এর দ্বারা আমি সতর্ক করি।’ (সূরা আনআম, ৬: ১৯)। এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, যার কাছেই কুরআনের আহ্বান পৌঁছবে সে-ই বিশ্বনবীর নবুয়তের অন্তর্ভুক্ত। সে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর উম্মতের শামিল। কাজেই বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়ত বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন। এক বর্ণনায় এসেছে, বিশ্বনবী (সা.) ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তির কাছে কুরআন পৌঁছে, কেমন যেন আমি তাকে সরাসরি সম্বোধন করছি। (আদ্দুররুল মানসূর)। রাসূলে আকরাম (সা.) যে বিশ্বনবী এবং তার আনীত দ্বীন ইসলাম যে গোটা মানবতার জন্য প্রযোজ্য, তার সুস্পষ্ট ঘোষণা সূরা ফুরকানে রয়েছে। ‘কত মহান তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তিনি বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারেন।’ (সূরা ফুরকান, ২৫: ১) পরিতাপের বিষয় হলো, বর্তমান কিছু জ্ঞানপাপী লোক রয়েছে, যারা এক দিকে বিশ্বনবী (সা.) এর নবুয়তের সত্যতা স্বীকার করে। অন্যদিকে বিশ্বনবী (সা.)কে কেবল আরব জাতির হেদায়েতের রাসূল হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং প্রোপাগান্ডা করে বেড়ায় যে, তার আনীত দ্বীন সেই প্রাচীনকালের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু তিনি যে সত্য নবী এবং তার সত্য পয়গাম (কুরআন) এর এসব ঘোষণার জবাব তারা কীভাবে দিতে পারবে? বাস্তব ও অনস্বীকার্য বিষয় হলো, তিনি বিশ্বনবী এবং তার আনীত মুক্তির পয়গাম সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য। তিনি আরব-আজম সবার নবী। তার নবুয়ত সর্বজনীন ও বিশ্বজনীন।


লেখক : শিক্ষাসচিব, জামিআ মুহাম্মাদিয়া ইসলামিয়া টিএন্ডটি মাদরাসা, বনানী, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিনি সর্বকালের নবী সর্বজনের পথপ্রদর্শক
আরও পড়ুন