Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হল তল্লাশিতে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চবি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংষর্ষের ঘটনায় শাহজালাল ও শাহআমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে ৩৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শাটলে বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল শুক্রবার ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় চবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। পরে পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে এই দুই হলে তল্লাশি চালায়। এ সময় উভয় হল থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে দুই দিনের  দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত সংখ্যা ২১ এ দাঁড়িয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় বিশ^বিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী তৌহিদুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটি হয় সভাপতির কয়েক জন কর্মীর সাথে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছলে সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা বেধড়ক মেরে আহত করে তৌহিদকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শাহজালাল ও আমানত হলের সামনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষ। এ সময় উভয় পক্ষের বিশ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক বায়েজিদ আহমেদ সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জীবন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়ন আমিত তৌহিদুল ইসলাম, সৌরভ সিনহা, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং শেখ আহমেদসহ সুজনের অনুসারী মোট ১২জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আটজন আহত বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে ফাহিম হাসান নামে সভাপতির এক কর্মীকে মারধর করে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এ ঘটনায় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা।এ সময় ধারালো অস্ত্র হাতে সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা শাহজালাল হলে সামনে এবং সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীরা শাহআমানত হলের সামনে জরো হয়ে পরস্পর উসকানিমূলক সেøাগান ও ইট পাটকেল মারতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শুক্রবার দুপুরে দুই হলেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় হল থেকে মোট ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিপুল দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তল্লাশি চলাকালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদৌল্লাহ রেজা, হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফর রহমানও উপস্থিত ছিলেন এবং হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।  
অন্য দিকে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া এবং বিপুল পুলিশের উপস্থিতি ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশের সহায়তায় হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ