গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুনসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং সর্বহারা দলের চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলী (৫০) এবং তার প্রধান সহকারী দূর্ধর্ষ ডাকাত দিদার মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বহারা পার্টির চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলী নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িঁ থানা এলাকার একটি বাড়ির দেয়াল ভেঙে তার দলসহ বাড়িতে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে বাঁধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে শুক্কুর আলী ও তার সহযোগীরা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার দিদার ওই হত্যাকাণ্ডে তার চাচা শুক্কুর আলীর প্রধান সহকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় খালিয়াজুড়ি থানায় মামলা হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করলে গ্রেফতার এড়াতে তারা এলাকা ত্যাগ করে নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
প্রায় তিন বছর পালিয়ে থাকার পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।