Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.)

মুফতী হাবীবুল্লাহ মিছবাহ্ | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

রাসূল (সা.) মদীনায় হিজরতের পর প্রথমেই একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। সেখানেই তিনি মুসলামানদের সমস্যাবলি সমাধান বা ফয়সালা দিতেন। তিনি সেখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিকদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত এবং পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত। উক্ত সনদের মাধ্যমে মদীনায় একটি ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। মহানবী (সা.) সে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পদাধিকার বলে তিনি ছিলেন মদীনার সর্বোচ্চ বিচারপতি। এভাবে নবী করীম (সা.) পরিপূর্ণ শাসক ও বিচারক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন একই সাথে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও প্রধান বিচারপতি। মহানবী (সা:) ইসলামী বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীতে শান্তি কায়েম করে গেছেন। ইসলামী বিচারব্যবস্থা একমাত্র কল্যাণকর ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবস্থা। শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা অপরিহার্য। মহানবী (সা.) বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে তৎকালীন জাহেলি সমাজকে পরিবর্তন করে সুশীল ও অপরাধমুক্ত সমাজ উপহার দেন। এ ধারা অব্যাহত থাকে খিলাফতে রাশিদার যুগ পর্যন্ত। বর্তমান মানব সভ্যতায় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নাগরিক অধিকার ও তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করা। আর এ অধিকার ও কর্তব্য পালনের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিচারব্যবস্থার গুরুত্ব ও অস্তিত্ব অপরিহার্য। তাই আধুনিক সমাজব্যবস্থায় ন্যায়নীতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামি বিচারব্যবস্থার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নবুওয়াতী ধারাবাহিকতার সর্বশেষ মিশন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর হাতে পর্ণতা লাভ করে। তাঁর মিশনের লক্ষ্য ছিল জালেমের অবসান ঘটিয়ে মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ কায়েম করা। তিনি সম্যক উপলব্ধি করেন যে, ন্যায়বিচার এমন এক প্রচলিত নীতি যার প্রয়োগ সুস্থ সমাজের সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য। যে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দুনিয়ায় আবিভর্‚ত হন, ২৩ বছর প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়ে তিনি তা কার্যকর করেন সার্থকভাবে। তার উপস্থাপিত জীবনব্যবস্থা মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বদিক দিয়ে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নিয়ামক ও চালিকাশক্তি। পবিত্র কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী মহান আল্লাহ্ সকল নবী ও রাসূলকে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের বিধান এবং তা কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন (সূরা হাদিদ : ২৫)। জীবনের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফের গুরুত্ব অপরিহার্য। কারণ ন্যায়বিচার ছাড়া মানবজীবনের কোনো ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে না। মানবিক মর্যাদাবোধ ও পারস্পরিক দায়িত্ববোধ এ গুণের কারণেই সৃষ্টি হয়। নিজের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি সমাজের অপরাপর সদস্যদের অধিকারের প্রতি সচেতন থাকা জরুরি, যেন কারো প্রতি জুলুম না হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে বারংবার ও স্পষ্টভাষায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ন্যায় ইনসাফ কায়েমের নির্দেশনা প্রদান করেন। বলÑ ‘নিশ্চয় আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দেন (সূরা নাহল : ৯০), হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো স¤প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদিগকে যেন কখনও সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, তা তাকওয়ার নিকটতর (সূরা মায়িদা : ৮) তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে (সূরা নিসা: ৫৮), হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ, যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা এবং আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়, সে বিত্তবান হোক বা বিত্তহীন হোক আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ো না। যদি তোমরা পেঁচানো কথা বল অথবা পাশ কাটিয়ে যাও তবে তোমরা যা করো আল্লাহ্ তো তার সম্যক খবর রাখেন। (সূরা নিসা : ১৩৫) আল্লাহ্ তা’আলার নির্দেশনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজে ন্যায়বিচারের মানদÐ সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। জাতি-ধর্ম, বর্ণ শ্রেণি, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ধনী-দরিদ্র, প্রভু-ভৃত্য সবার ক্ষেত্রে বিচার সমান, এখানে বিন্দুমাত্র হেরফেরের অবকাশ ছিল না। দয়া বা পক্ষপাতিত্ব আল্লাহর বিধান কার্যকরকরণে কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। হজরত ‘আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিজস্ব ব্যাপারে কারো নিকট হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। (হাফিয আবু শায়খ ইসফাহানী, আখলাকুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, পৃ. ১৯) একদা কুরাইশ বংশীয় মাখযুম গোত্রের এক সম্ভ্রান্ত মহিলা চুরির অপরাধে ধরা পড়লে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হস্ত কর্তনের নির্দেশ দেন। আভিজাত্য ও বংশ মর্যাদার উল্লেখ করে সে মহিলার শাস্তি লাঘবের জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট তার একান্ত স্নেহভাজন উসামা ইবনু যায়েদ রা. সুপারিশ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন, তুমি কি আল্লাহর দÐবিধির ব্যাপারে সুপারিশ করছ? অতঃপর লোকজনকে আহŸান করে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন ‘হে মানবমÐলী! নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী জনগণ পথভ্রষ্ট হয়েছে এ জন্য যে, তাদের কোনো সম্মানিত লোক চুরি করলে তখন তারা তাকে রেহাই দিত। আর যখন কোনো দুর্বল লোক চুরি করত তখন তারা তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম! মুহাম্মদ এর কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করত, তবে অবশ্যই তার হস্ত কর্তন করে দিতাম। (বুখারী ও মুসলিম, সূত : মিশকাত, পৃ. ৩১৪)। সোরাকা নামক জনৈক সাহাবী এক বেদুঈনের নিকট হতে উট ক্রয় করে তার মূল্য পরিশাধ না করায় বেদুঈন তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবারে হাজির করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশ্নের জবাবে সোরাকা বলেন, মূল্য পরিশোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেদুঈনকে বলেন, তুমি এটাকে বাজারে বিক্রয় করে তোমার পাওনা উসূল করে নাও। বেদুঈন তাই করল। (দারু কুতনী) এভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজে ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তার পরিচালিত সমাজ ও রাষ্ট্রে সুবিচার নিশ্চিত করার ব্যাপারে কতখানি যতœবান ছিলেন উপযুক্ত ঘটনা তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ বহন করে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান সুবিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একতরফা রায় বিচারকে প্রহসনে পরিণত করে। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আলী রা.কে ইয়ামানের বিচারক নিয়োগের সময় নিম্নোক্ত পরামর্শ দেন ‘যখন তোমার সামনে বাদী-বিবাদী উপস্থিত হয়ে বিচার প্রার্থনা করবে তখন তুমি দ্বিতীয় পক্ষের মতামত না শুনে প্রথম পক্ষের অনুক‚লে রায় ঘোষণা করবে না। কেননা দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য তোমাকে মামলার প্রকৃতি উপলদ্ধিতে ও সঠিক রায় দানে সাহায্য করবে। (বায়হাকী, সূত্র: মিশকাত, পৃ. ১৯৯) মানব জীবনের গতিধারা বিশ্লেষণ করলে প্রমাণিত হয় যে, মানুষের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ইনসাফের প্রয়োজন অপরিহার্য। এটা ছাড়া সমাজ টিকে থাকতে পারে না। সামাজিক জীবনকে নির্বিঘœ, নিরুপদ্রব ও স্বচ্ছন্দ করে তুলতে ন্যায়বিচার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। কেবল অঢেল বিত্ত ও বৈভব মানুষকে শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারে না, যদি সেখানে ন্যায় ইনসাফ ও সুবিচারের ব্যবস্থা না থাকে। অপর দিকে বিত্তের প্রাচুর্য ও সম্পদের পাহাড় না। থাকলেও কেবল ইনসাফপূর্ণ ব্যবস্থার কারণে যে কোনো সমাজে শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। (মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম, অর্থনৈতিক সুবিচার ও হজরত মুহাম্মদ, ঢাকা, ১৯৮০, পৃ-০৯) সমাজে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য পবিত্র কুরআন, হাদিস ও সাহাবাদের ঐকমত্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। পক্ষপাতিত্ব, জুলুম ও অজ্ঞতা বিচার ব্যবস্থাকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইজতেহাদ করে বিচার করে এবং তার ইজতেহাদ যদি সঠিক হয় তাহলে তার জন্য দুটি পুরস্কার। আর ইজতেহাদে ভুল হলে একটি পুরস্কার। বিচারক তিন প্রকার। তন্মধ্যে দু’প্রকার জাহান্নামী এবং এক প্রকার জান্নাতী। যে ব্যক্তি হক জেনে তার দ্বারা ফায়সালা করে সে জান্নাতী। যে ব্যক্তি অজ্ঞতা বশতঃ ফয়সালা করে- সে জাহান্নামী এবং যে ব্যক্তি বিচারের ক্ষেত্রে জুলুম করে, সেও জাহান্নামী। (ইবন মাজাহ, সুনান, ২খ. ৩৪১-৩৪২)। সামাজিক জীবনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশ কয়েকটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি অর্থ সম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির আমুল পরিবর্তন আনার প্রয়াস চালান। সমকালীন দুনিয়া বিশেষতঃ প্রাক ইসলামী সমাজে ধন সম্পদ ছিল আভিজাত্যের মাপকাঠি, কামিয়াবীর নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। তাই মানুষ হন্যে হয়ে অর্থ ও সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটেছে সারা জীবন। বৈধ-অবৈধ হালাল-হারাম, ন্যায়-নীতি, পাপ-পূণ্য এ সবের ধার ধারেনি। এভাবে মানুষ হয়েছে অর্থ সম্পদের দাস আর অর্থ সম্পদ হয়েছে তাদের প্রভ‚। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের লক্ষ্যে ওহী নির্ভর যে দর্শন পেশ করেন তা হলো মানব জীবনে অর্থ-সম্পদ অপরিহার্য। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অর্থ-সম্পদ অর্জন করতে হয়, কাজে লাগাতে হয়, কিন্তু তা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। অর্থ ও ধন সম্পদসহ দুনিয়ার সব কিছুই মানুষের সেবক ও খাদেম। পৃথিবীর বস্তু মানুষের জন্য সৃষ্টি। (সুরা আল বাকারা: ২৯) মানুষ ও মানুষের সব কর্মকাÐ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিবেদিত। সুতরাং অর্থসম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও ব্যয় করতে হবে আল্লাহর নির্দেশিত পথে। এতেই নিহিত আছে মানুষের মুক্তি ও কামিয়াবী। সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনগণকে নীতি ও বিধিসম্মতভাবে অর্থ-সম্পদ অর্জন করার এবং জাকাত ও সাকার মাধ্যমে সে অর্জিত সম্পদের কিয়দংশ দুঃখী ও অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেন। অধিকন্তু রাষ্ট্রের আর্থিক সম্পদে জনগণের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছয় প্রকার রাজস্ব প্রবর্তন করেন। এগুলো হলো ১. আল-গণিমাহ্ বা যুদ্ধলব্ধ সম্পত্তি, ২. জাকাত বা ধনীদের দেয়-দরিদ্র কর, ৩. খারাজ বা অমুসলিম কৃষকদের ভ‚মি কর, ৪. জিযিয়া বা অমুসলিমদের নিরাপত্তা কর, ৫. আল-ফাই বা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, ৬. সাদকা বা স্বেচ্ছাধীন দান। এসব খাতে সংগৃহীত রাজস্ব নির্ধারিত হারে জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হতো। (চলবে)

লেখক : আরবি প্রভাষক, কড়িহাটি ফাজিল মাদরাসা, চাটখিল, নোয়াখালী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাসূল (সা.)

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ