মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এ বার আমেরিকার কাটা ঘায়ে আক্ষরিক অর্থেই লবন লাগিয়ে দিল রাশিয়া। আমেরিকার বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তুলে খবরে আসা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিজেদের দেশের নাগরিকত্ব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি।
আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সির গোপন ফাইল সংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে পালিয়ে প্রথমে হংকং পৌঁছন। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া গোপন সাক্ষাৎকারে কার্যত বোমা ফাটান তিনি। দেশের অন্দরে এবং অন্য দেশের উপর বেআইনি ভাবে আমেরিকা নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। স্নোডেন সেই সময় জানান, কাজে যোগ দিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং প্রতিবাদও জানান। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি, প্রাণ হাতে করে পালিয়ে গোটা বিশ্বের সামনে আমেরিকার মুখোশ খুলে দিতে চান বলে জানিয়েছিলেন। প্রকাশ করেছিলেন বহু গোপন ফাইল। তার পর থেকে আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় স্নোডেন। কিন্তু তাদের হাত ফস্কে রাশিয়ায় পৌঁছে যান স্নোডেন। সেই থেকে পুতিনের আশ্রয়েই ছিলেন এতদিন।
এই কয়েক বছরে বার বার স্নোডেনকে হাতে পাওয়ার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার হয়ে তিনি চরবৃত্তি করছিলেন বলে অভিযোগ করে তারা। দেশে ফিরে স্নোডেনকে আইনি পথে সাজাপ্রদানই লক্ষ্য ছিল আমেরিকার। কিন্তু আমেরিকায় ফেরার কোনও ইঙ্গিতই দেননি স্নোডেন। বরং রাশিয়াতেই রয়ে গিয়েছেন। এ বার সে দেশের নাগরিকত্বও পেয়ে গেলেন। স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দেয়া নিয়ে ক্রেমলিনের তরফে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়া হয়নি। কিন্তু শনিবার যে ৭২ জন বিদেশে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন পুতিন, তাতে নাম রয়েছে স্নোডেনের।
স্নোডেনের রুশ নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কিন্তু রাশিয়ায় এ নিয়ে রঙ্গ-রসিকতাও শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রুশ নাগরিক হিসেবে স্নোডেনও সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন কি না, প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে স্নোডেনের আইনজীবী আন্তলি কুচেরেনা জানিয়েছেন, স্নোডেনকে যুদ্ধে পাঠানো হবে না। কারণ রুশ সেনায় দায়িত্ব পালনের কোনও অভিজ্ঞতা নেই তার। স্নোডেনের আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, স্নোডেনের স্ত্রী লিনজি মিলস ২০২০ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনিও আগামী দিনে রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাবেন।
এর আগে, ২০২০ সালে রাশিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয় স্নোজডেনকে। নাগরিকত্ব পাওয়ার সেটাই প্রথম ধাপ ছিল বলে মনে করা হয়েছিল তখনই। সে বছরই স্নোডেন মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন বলে জানিয়ে দেয় আমেরিকার এক আদালত। স্নোডেন গোপন তথ্য ফাঁস করে ঠিক করেননি বলে মন্তব্য করেছিলেন পুতিনও। কিন্তু স্নোডেন বিশ্বাসঘাতক নন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।