পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গত মঙ্গলবার এই কলামে ‘মওলানা আজাদ ও এ কে খন্দকারের গ্রন্থ থেকে: ভারতে হিন্দুদের মুসলিম বিদ্বেষ’ শিরোনামে লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর অসংখ্য পাঠক টেলিফোনে এমনকি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারেও আমাকে বলেছেন যে, ঐ কলামে বিধৃত অনেক তথ্য তাদের অজানা ছিল। তারা প্রথমে ইনকিলাবের নিকট এবং পরে ব্যক্তিগতভাবে আমার নিকট দাবি করেছেন যে, এই বিষয়ে তারা সবকিছু জানতে চান। তাই আমি যেন ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে বলে এ ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে পাঠকদের কৌতূহল মিটাই। আমরা ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো। তবে বিরতিহীনভাবে এই বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা সম্ভব নয়। কারণ, এর মধ্যে দেশে অনেক পলিটিক্যাল, ইকোনমিক এবং অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট হয়। সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। আজ আমি এমন একটি বিষয়ে লিখবো যেটি সাধারণভাবে মানুষ মোটামুটি জানে। কিন্তু সেই জানার আড়ালেও এমন কিছু ঘটনা থেকে যায় যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে জনসমক্ষে আসে না। আসে অনেক পরে। তেমনি একটি ঘটনা হলো বাংলার বিভক্তি। আসলে ভারত বিভক্তি বলতে ভারতের দুটি প্রদেশকে বিভক্ত করা হয়েছিল। এ দুটি প্রদেশ হলো পাঞ্জাব এবং বাংলা। অন্যান্য প্রদেশ অখন্ডিতভাবেই ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগদান করে। যদি সময় সুযোগ হয় তাহলে আমি দেখাবো যে, মুসলিম লীগ তথা জিন্নাহ পাঞ্জাব এবং বাংলা উভয় প্রদেশকেই অবিভক্ত রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসই দুইটি প্রদেশকে ভাগ করতে বাধ্য করে। আর বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এ দেশের এক শ্রেণির সুধী এবং পলিটিশিয়ান সব সময় উল্টো বুঝিয়েছেন। বলেছেন যে, মুসলিম লীগই পাঞ্জাব এবং বাংলাকে ভাগ করার জন্য দায়ী, বিশেষভাবে জিন্নাহ দায়ী। আসুন, প্রথমে আমরা বাংলা ভাগ নিয়ে কথা বলি। এ ব্যাপারে আমি ১৯৯০-৯১ সালে এবং পরবর্তীতে দৈনিক ইনকিলাবে কয়েকটি লেখা লিখেছি। আজ সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করবো না। আজ বাংলা ভাগ সম্পর্কে বিবিসির ভারতীয় প্রতিনিধি অমিতাভ ভট্টশালীর দেওয়া কয়েকটি অজানা তথ্য উল্লেখ করছি।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অমিতাভ ভট্টশালী বিবিসির একজন প্রবীণ সাংবাদিক। এখনও ভারতের সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে তাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসাবে গণ্য করা হয়। তিনি বলছেন, ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ভারতের তৎকালীন বড়লাট লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভাগ করে ভারতের ক্ষমতা কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এর কয়েক মাস আগে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (তখন বাংলার বিশেষ মর্যাদা ছিল বলে বাংলা সরকারের প্রধানকে মুখ্যমন্ত্রী না বলে প্রধানমন্ত্রী বলা হতো) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলা মুসলিম লীগের জেনারেল সেক্রেটারী আবুল হাশিম এবং কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নেতা শরৎচন্দ্র বসু চিন্তা করছিলেন, কীভাবে বাংলাকে দ্বিখন্ডিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায়। তারা যৌথভাবে তৈরি করেন ইউনাইটেড বেঙ্গল প্ল্যান বা যুক্ত বঙ্গ প্রস্তাব। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে বয়োবৃদ্ধ প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা এবং বিশ^ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর বদরুদ্দিন ওমর আবুল হাশেমের পুত্র। আর শরৎচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতা, সাবেক কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসুর আপন ভাই। তারা চেয়েছিলেন যে, পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হোক। এ ব্যাপারে হার্ভাড বিশ^বিদ্যালয়ের গার্ডিনার প্রফেসর অফ হিস্ট্রি সুগত বসু বিবিসিকে বলেন, ইউনাইটেড বেঙ্গল প্ল্যানটা আমাদের দেখতে হবে একটি পরিপ্রেক্ষিতে। এটা একটা প্রচেষ্টা ছিল, যাতে আমাদের এই উপমহাদেশে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাস করতে পারে। এপ্রিল মাসেই (১৯৪৭ সালের) এ ব্যাপারে তারা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমর্থন পান। আর তারপরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে বেশ কিছু কথাবার্তা হয় মে মাসে এবং গান্ধীজি প্রথমে এই প্রকল্প সমর্থন করেন।
দুই
এরপর অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের কয়েক মাস আগে থেকেই যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয় তার বেশিরভাগটাই হয়েছে ১নং উডবান পার্কে শরৎচন্দ্র বসুর বাসভবনের এক তলার বৈঠকখানায় অথবা দুই তলার বারান্দায়। মুসলিম লীগ নেতা জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত¡ অনুসারে ভারত ভাগ করার প্রস্তাব জোরদার হচ্ছিল। সেই দলেরই নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন চ‚ড়ান্ত করছেন যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব। সোহরাওয়ার্দী গবেষক আলিমুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, তার যে রাজনীতি সেই রাজনীতি মুসলিম লীগ হলেও বাংলা নিয়েই তার রাজনীতি ছিল। সেখানে মুসলিম লীগ হলেও যখন দেখলেন যে, বাংলা পাকিস্তানের দিকে চলে যাচ্ছে পুরোপুরি বা ভারতের দিকে চলে যাচ্ছে সেটাতে তার আপত্তি ছিল এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদে তিনি বিশ^াস করতেন মুসলিম লীগ হলেও। এ কারণেই কিন্তু ইউনাইটেড বেঙ্গল তিনি চেয়েছিলেন।
অতঃপর অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী ১৯৪৭ সালের ৯ মে কলকাতায় আসেন। ট্রেন থেকে নেমেই সরাসরি তিনি চলে গিয়েছিলেন কলকাতার কাছে সোদপুরের কলকাতার খাদি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে তিনি একাধিকবার দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। সেখানেই তিনি একের পর এক নেতার সাথে যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা সেরেছিলেন। এ ব্যাপারে সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস গবেষক কৃষাণু ভট্টাচার্য বিবিসিকে বলেন, তিনি আসবার কিছুক্ষণের মধ্যেই শরৎচন্দ্র বসু খাদি প্রতিষ্ঠানে এসে উপস্থিত হন এবং মহাত্মা গান্ধীর সাথে যুক্তবঙ্গ প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ৯ মের পর ১০ মে কিরণশংকর রায়, আবুল হাশেম এবং শরৎচন্দ্র বসু মহাত্মা গান্ধীর সাথে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেন এবং পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দীও এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, সোহরাওয়ার্দী, শরৎচন্দ্র বসু প্রমুখের সাথে প্রথম কয়েক দিনের আলোচনায় গান্ধী যে যুক্তবঙ্গ প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন সেই খবর বের হতেই তৎপর হয়ে ওঠেন হিন্দু মহাসভার নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। সোদপুরে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী গান্ধীকে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে বোঝানোরও চেষ্টা করেন। সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস গবেষক কৃষাণু ভট্টাচার্য বলেন, ১২ ও ১৩ মে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেন যে, এই প্রস্তাব অর্থাৎ যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব যিনি রচনা করেছেন তার উদ্দেশ্য হলো, তিনি বাংলার পাট শিল্পকে বাঁচাবার অত্যন্ত আগ্রহী। পরবর্তীকালে যখন এটা ইউনাইটেড বেঙ্গল অর্থাৎ স্বাধীন বাংলা তৈরি হয়ে যাবে তখন প্রভাব খাটিয়ে এটিকে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করে দেবেন।
অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, অন্যদিকে বৃটিশ সরকারও ভাবতে শুরু করেছিল যে, যুক্তবঙ্গ সত্যিই গঠিত হয়ে যেতে পারে। সেজন্য লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন তার ক্ষমতা হস্তান্তরের ঐতিহাসিক ভাষণের দুটি ভিন্ন বয়ান রেকর্ড করে এসেছিলেন লন্ডনে গিয়ে। এই পর্যায়ে হার্ভাড বিশ^বিদ্যালয়ের গার্ডিনার প্রফেসর অফ হিস্ট্রি সুগত বসু বিবিসিকে বলেন, ২৮ মে ১৯৪৭ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন লন্ডনে দুটি বক্তৃতা রেকর্ড করলেন। ব্রডকাস্ট ‘এ’ এবং ব্রডকাস্ট ‘বি’। ব্রডকাস্ট এ-তে বলা হয়েছিল যে, পাঞ্জাব এবং বাংলা দুই রাজ্যেরই ভাগ হবে। কিন্তু ব্রডকাস্ট বি-তে বলা হলো, বাংলার হিন্দু এবং মুসলমান নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। একটি কোয়ালিশন ডকুমেন্ট হবে এবং বাংলার পার্টিশন হবে না। এই দুই ব্রডকাস্ট রেকর্ড করে উনি তো আবার ভারতে ফিরে এলেন। কিন্তু ৩০ মে কংগ্রেস হাই কমান্ডের দুই নেতা জওহরলাল নেহরু এবং বল্লবভাই প্যাটেল ব্রডকাস্ট বি একেবারে পুরাপুরি কেটে দিলেন।
তিন
এ পর্যায়ে অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, কংগ্রেস সভাপতি জেপি কৃপালিনি, জওহরলাল নেহরু এবং বল্লবভাই প্যাটেল এবং বঙ্গীয় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা যুক্তবঙ্গের ঘোরতর বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের স্পষ্ট অবস্থান ছিল পাঞ্জাব আর বাংলাকে ভাগ করাই শ্রেয় হবে। বাংলা ভাগ করার দাবিতে হিন্দু মহাসভাকেও কংগ্রেস নেতারা পাশে পেয়ে গিয়েছিলেন। শুধু যে কংগ্রেসের হাই কমান্ড যুক্তবঙ্গের পক্ষে সায় দিতে বেঁকে বসেছিলেন তাই নয়, ’৪৬ এর দাঙ্গার পর থেকেই সোহরাওয়ার্দীর বিশ^াসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বাংলার হিন্দু সমাজের মধ্যেই। সোহরাওয়ার্দী যে প্রস্তাবে যুক্ত তাতে পশ্চিম বাংলার হিন্দু নেতাদের সায় না থাকার একটা কারণ ছিল সেটাও। পরবর্তীকালে ঐতিহাসিকরা দেখিয়েছেন, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের জন্য সোহরাওয়ার্দীর ওপরেই সব দায় চাপিয়ে দেওয়াটা অনুচিত হয়েছিল।
সোহরাওয়ার্দী গবেষক আলিমুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, ’৪৬ এর ১৬ আগস্টে যে দাঙ্গা হয় সেই দাঙ্গায় মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আমাদের যে প্রতিবেশী সম্প্রদায় তারা ভয় পেয়েছিল যে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যদি থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে না।
এই পর্যায়ে অমিতাভ ভট্টশালী বলেন, লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন যে পার্টিশন প্ল্যান ঘোষণা করেছিলেন, তাতে বিভাজনের কথাও যেমন ছিল, তেমনি সেই বিভাজনের সিদ্ধান্তকে বাংলার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুমোদন দেওয়ার কথাও ছিল। পূর্ব আর পশ্চিম বাংলার জনপ্রতিনিধিরা এক সঙ্গে এবং পৃথকভাবে ভোট দিয়ে বিভাজন চ‚ড়ান্ত করেন ১৯৪৭ এর ২০ জুন। দুই বাংলার প্রতিনিধিরা যখন যৌথভাবে ভোট দেন তাতে বিভাজনের বিরুদ্ধেই গিয়েছিল ফলাফল। তবে পশ্চিম বাংলার জনপ্রতিনিধিরা আলাদাভাবে ভোট দেন বাংলা ভাগের পক্ষে। অন্যদিকে পূর্ব বাংলার জনপ্রতিনিধিরা রায় দিয়েছিলেন দুই বাংলা এক রাখার পক্ষে। যেহেতু পশ্চিম বাংলার প্রতিনিধিরা বাংলা ভাগ করার পক্ষে গিয়েছিলেন তাই বস্তুত সেদিনই শেষ হয়ে গিয়েছিল যুক্তবঙ্গ প্রস্তাবের সব সম্ভাবনা।
চার
সত্যাশ্রয়ী হলে ইতিহাসকে তার সঠিক অবস্থানে স্থাপন করা উচিত। ছাত্রজীবন থেকেই একটি চিহ্নিত মহলের কাছ থেকে শুনে আসছি যে, মুসলিম লীগ এবং জিন্নাহর কারণে যুক্তবাংলা পাওয়া যায়নি। তেমনি তাদের কারণেই আমরা কলকাতাও হারিয়েছি। এসব প্রচারণা করে কার কি লাভ হয়েছে? কাদের পক্ষে গেছে এই প্রচারণা? আজ এই কলামে এতক্ষণ ধরে যা বলা হলো সেটি কোনো মুসলিম লীগার বা পাকিস্তানপন্থীর নয়। যারা বলেছেন তাদের মধ্যে আলিমুজ্জামান ছাড়া অন্য সকলেই ভারতের নাগরিক এবং স্বাভাবিক কারণেই দেশপ্রেমিক তথা ভারতপ্রেমিক। তাদের ভারতপ্রেমকে কটাক্ষ তো করবোই না, বরং প্রশংসা করবো। সেটিই তো খাঁটি দেশ প্রেমিকতার নিদর্শন। সেই তারাই বলছেন যে, জিন্নাহ এবং গান্ধী উভয়েই বাংলাকে এক রাখতে চেয়েছিলেন। তারা উভয়েই সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশেম, কিরণশংকর রায় এবং শরৎচন্দ্র বসুর যুক্তবাংলা প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু ঐ প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতা করেছেন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এবং বেঙ্গল কংগ্রেস। এদের প্রবল বিরোধিতার কারণেই যুক্তবাংলার প্রস্তাবকে মেনে নিতে পারেননি লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন। ফলে বাংলা দ্বিখন্ডিত হলো। দ্বিখন্ডিত বাংলার পূর্বাঞ্চলকে জিন্নাহ বলেছিলেন ‘পোকায় খাওয়া পাকিস্তান’। সেই পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তানই আজকের বাংলাদেশ। সেদিন যদি নেহরুসহ কংগ্রেসীরা যুক্তবাংলার বিরোধিতা না করতেন তাহলে সমগ্র অখন্ড বাংলাই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।