Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ।। আহত ৭

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩৪ পিএম

কুষ্টিয়া কুমারখালী চরজগন্নাথপুর গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে সাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করলো প্রতিপক্ষের লোকজন। এই হামলার আরো ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আয়শা ও তার বাবা ইসা খাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়া ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

থানায় অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই এলাকার মজিদ প্ররামানিক এর ছেলে আবু মুসা (৪০) রবিউল প্ররামিনিক , শরিফ প্ররামানিক, শুকুর প্ররামানিক, জয়লাল প্ররামানিক, রাকিব প্ররামানিক, বাক্কার প্ররামানিক, আলামিন প্ররামানিক, সেলিম প্ররামানিক, কালাম প্ররামানিক, উজ্জ্বল হোসেন সহ আরো অনেকেই। গত( ২২ শে সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইসা খাঁ বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে । এই সময় ইসা খাঁর কে বাঁচাতে এগিয়ে আছে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে আয়শা খাতুন (১২) এই সময় আয়শার উপর সাবল দিয়ে হামলা চালানো হয় ।

হামলায় সময় আয়শার শরীরে থাকা জামা টেনে খুলে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। বিবস্ত্র আশয়ার মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করে। সাবলের আঘাতে আয়শার মাথায় গুরুতর জখম হয় । সেই মূহূর্তে আয়শার অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান যোগে কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়শার কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। আয়শা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

আয়শার বাবা ইসা খাঁর শরীরের অবস্থা অবনতি হলে তাকেও ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় আনছার খাঁ ,ফরিদা , শরিফুল সহ আরো অনেকে আহত হয়ে কুমারখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সম্পা খাতুন জানান, মাঠের জমি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুদ্দুস এর ছেলে রবিউল, আলামিন, রাকিবুল, আয়শাকে বিবস্ত্র করে সাবল দিয়ে মেরেছে। আয়শার বাবা ও মার উপর মারধর করছিল। এই সময় আয়শা তার বাপ - মা কে বাঁচাতে গেলে তার উপর এমন হামলা হয়। আমরা এলাকাবাসী এর বিচার চাই।

মোঃ তামিজুল ইসলাম বলেন, হামলার সময় আমার ঘর থেকে সোনার একটা চেন ও সোনার চুরি হামলাকারীদের মধ্যে থেকে কেউ এই গুলো নিয়ে গেছে। এই হামলার আগে থেকেই মুসা এবং তার লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি ও আমার পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে আমাদের উপর হামলা হতে পারে।

ভাড়ালা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে শুনতে পেয়েছি, ইসা খাঁ বাড়িতে ইসা খাঁ উপর উজ্জ্বল সহ আরো অনেকেই হামলা করে। আয়শা তার বাবা কে উদ্ধার করতে গেলে মেয়েটির উপর হামলা হয়। আমি এলাকাবাসী কাছ থেকে জানতে পেয়েছি। আয়শাকে বিবস্ত্র করে মাথায় সাবল দিয়ে মারা হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ঘটনাটি পাবনা সদর ভাড়ালা ইউনিয়নের মধ্যে। তাহলের কে পাবনা সদর থানার যেতে বলা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ