মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার সংক্রান্ত যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশটির পাশে থাকবে যুক্তরাজ্য। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
সাক্ষাৎকারে ক্লেভারলি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ভ্লাদিমির পুতিন ক্রমাগতভাবে বিপদজ্জনক হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এটি তার (ভ্লাদিমির পুতিন) এবং বিশ্ববাসীর বুঝা উচিত যে আমরা ইউক্রেনের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবস্থান করব। কারণ, তারা আগ্রাসনের বিপক্ষে নিজেদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করছে।
গতকাল এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন জানান, ইউক্রেনে রুশ হামলা জোরদার করার জন্য সেনা সমাবেশ করা হবে। এর পাশাপাশি তিনি পারমাণবিক হামলারও ইঙ্গিত প্রদান করেছন। এসময় ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে গণভোট আয়োজন করার কথাও জানান পুতিন।
পুতিনের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ক্লেভারলি বলেন, অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ করার দ্বারা এটি বুঝা যায় যে ইউক্রেনের রাশিয়ার অবৈধ ও বিনা উস্কানিতে শুরু হওয়া যুদ্ধ তার (ভ্লাদিমির পুতিন) পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হচ্ছে না। এসময় ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পুতিন হয়তো আশা করেছিলেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবেন তিনি। তবে এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা প্রবলভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবং রাশিয়ার সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করছে।
সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনে রুশ অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট আয়োজনের তীব্র নিন্দা জানান ক্লেভারলি। তিনি বলেন, এ ধরণের কোনো ভোট আয়োজনের বৈধতা ও নিরপেক্ষতা নেই। এতে পূর্ব ইউক্রেনের জনগণের আসল চাহিদা ফুটে উঠবে না। বরং এ ধরনের অর্থহীন গণভোট আয়োজন করার পিছনে সময় ও শক্তি ব্যয় না করে রাশিয়ার উচিত সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া। ইউক্রেনের ভূমি ইউক্রেনীয়ানদের নিকট ফেরত দেওয়া উচিত। তাদের নিজেদের দেশকে পুনর্গঠন করার সুযোগ দেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ এ রাজনীতিবিদ জানান, পশ্চিমা অবরোধের কারণে রাশিয়ার খাদ্য, সার ও অ্যামোনিয়া রপ্তানিতে কোনো প্রকার প্রভাব ফেলছে না। যদিও মস্কোর এ ব্যাপারে সবসময়ই বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া অবরোধকে দায়ী করে আসছে। এ সময় খাদ্য সংকটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন পুতিন এমন অভিযোগও তোলেন ক্লেভারলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।