Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৮ পিএম

জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার পর এবার বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করছে বিইআরসি। বিইআরসি’র এ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জনজীবনকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান।
এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিদ্যুতের পাইকারি দর প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে বিইআরসি। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। গ্যাস সঙ্কটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ। আবার প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। সারাদেশে বেড়ে গেছে লোডশেডিং। রাজধানী ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দিনে ৫ থেকে ৬ বার এবং গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং হচ্ছে। আর আবাসিক এলাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রান্নার চুলা জ্বলছে না। শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুতের কারণেই। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। সম্প্রতি গ্যাসের দাম বেড়েছে। এরপর জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। করোনা মহামারির ফলে সাধারণ মানুষ এখনও তাদের কোমর সোজা করে দাড়াতে পারেনি। এরমধ্যে সবকিছুর দাম বাড়ানোর ধাক্কা এখনও সামাল দিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এসব দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। সব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি অবস্থা। কোন অজুহাতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। বিদ্যুতের বাড়ানোর বিইআরসি’র প্রস্তাব নাকচ করে দিতে হবে।
এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগি সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মুফতী শেখ মুহাম্মদ নুর-উন-নাবীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যুবনেতা মুফতী নূর উন নাবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে তার ছোট ভাই নাহিদ হাসান নূহ, ভগ্নিপতি মুস্তাফিজুর রহমান মজনুকেও গ্রেফতার করে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বেড়াতে আসা নূরউন নাবীর ভগ্নিপতিও চক্রান্তের জালে আবদ্ধ হলো। এভাবে নিরীহ নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করে হয়রানি করা সরকারের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায় ৭ আগস্টের একটি অন্য রাজনৈতিক দলের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় নূর-উন নাবীকে। পুলিশ এভাবে ভুর তথ্যে অনেক নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে হয়রানি করে। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ অবিলম্বে যুবনেতা মুফতী নূর-উন নাবীর মুক্তির দাবি জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ