পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্যাকেজ-ভ্যাট কমানোর জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিরি পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মস্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে রিটার্ন জমার পরিমাণ বাড়লে ভ্যাট কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে তিনি জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) ‘ট্যাক্স গাইড ২০১৬-১৭’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। নভেম্বরের মধ্যে বর্ধিত প্যাকেজ-ভ্যাট বাতিল করার ঘোষণা না দিলে ক্ষুদ্র-মাঝারি এবং কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা দোকানে তালা মেরে ঘরে বসে থাকবেন দোকান মালিক সমিতির এমন হুমকির একদিনের মাথায় অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কাস্টম কমিশনারেট পশ্চিম অফিসের অধীনে ৭৭ হাজার ৫৮৭টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় মাত্র ১১ হাজার। বাকি ৬৮ হাজার প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় না। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে ‘৭৭ হাজার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার ভ্যাট দেয়। ‘যদি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশও ভ্যাট পরিশোধ করে, তবে ভ্যাট কমানো যাবে কি না, বিবেচনা করা যেতে পারে’ বলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
মুহিত আরও বলেন, ভ্যাট বিষয়ক জটিলতা কমানো জন্য ব্যবসায়ীদের নিজেদের হিসাব-নিকাশ রক্ষণাবেক্ষণে আরোও দক্ষতা অর্জনের পাশপাশি ইসিআর মেশিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠতে হবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।