Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘে ট্রাম্পের বিচার চাইলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২৫ এএম

ইরানের রেভ্যুলেশোনারি গার্ডের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার অপরাধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চেয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রায়িসি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিয়ে এ অঞ্চলের মানচিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনার যে ষড়যন্ত্র সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো করেছিল তা নস্যাৎ করে দিতে জেনারেল সোলাইমানি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবে না ইরান।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) বিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে চালানো মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজ এখন একটি ‘নতুন যুগ ও বিশ্ব ব্যবস্থায়’ প্রবেশ করছে যেখানে ‘পুরোনো এক মেরুকেন্দ্রীক’ ব্যবস্থার কোনো স্থান থাকবে না। তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থাকে একমেরুকেন্দ্রীক ও সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা পরিচালিত এবং নৈতিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সদগুণের ওপর পুঁজিবাদের লাগামহীন নিয়ন্ত্রণ বলে চিহ্নিত করেন।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, এতদিন যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল সেটিকে নির্দ্বিধায় যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে পৃথিবী চলতে পারে না এবং এর অবসান হওয়া প্রয়োজন।
ইরান দাবি করে, সিরিয়া ও ইরাককে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস যে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল তা দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন জেনারেল সোলাইমানি।
ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পর জেনারেল সোলেইমানিকে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ ছিল মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের হেজবুল্লাহ অভিযান ও ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন করতে ইরানের প্রাথমিক অস্ত্র কুদস ফোর্স। এসব সংগঠনকে তারা অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
ইরানের রেভ্যুলেশোনারি গার্ড ও তাদের অধীনস্থ কুদস ফোর্সকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে।



 

Show all comments
  • আঃ শহিদ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:৫০ পিএম says : 0
    মানবঅধিকার ও গনতন্তের অজুহাতে যারা মুসলিম রাষ্ট্র গুলিকে ধংস করছে এই পশ্চিমা দেশগুলি আল্লাহর গজবে এক দিন ধংস হবে তাদের মানবাধিকার ও গনতত্ন শুধু মুসলমানদের বেলায় সরব আর ইজরায়েলের বেলায় নিরব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ