মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সেখান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে যুক্তরাজ্যের একটি শহরে দু'দল ক্রিকেট সমর্থকের সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় পরিণত হয়েছে।
মধ্য ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরে এটি ঘটছে গত বেশ কিছুদিন ধরে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে সহিংসতা চলার পর লেস্টার শহরের পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, দুজনের কারাদণ্ড হয়েছে। অস্ত্র রাখার দায়ে অ্যামোস নরোনহা নামে একজনের ১০ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। লেস্টারের ইলিংওয়ার্থ রোডের বাসিন্দা এ লোকটির বয়স ২০ এবং তিনি আদালতে অস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করেছেন। অ্যাডাম ইউসুফ নামে লেস্টারের ব্রাইন স্ট্রিটের বাসিন্দা ২১ বছরের আরেক ব্যক্তিকে ছুরি রাখার দায়ে এক বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছেন ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশের একটি কুকুরও আহত হয়েছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের কারোরই আঘাত গুরুতর নয় বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার গ্রেফতার হওয়া দুজনের একজনের কাছে 'ধারালো অস্ত্র' পাওয়া গেছে, আর অন্যজনের বিরুদ্ধে 'সহিংস বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে। কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্তত আট জন লেস্টারের বাইরে বার্মিংহ্যামের মত অন্য শহর থেকে আসা।
শহরের পূর্বাঞ্চলে সারা রাত ধরে পুলিশী টহল চলছে এবং গত কয়েক ঘন্টায় নতুন কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে লেস্টার শহরের দক্ষিণ এশীয়-অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় পরিস্থিতি বেশ থমথমে। সেখান থেকে নেতারা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি শান্তি বজায় রাখতে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছেন। পরিস্থিতি বেশ থমথমে, দোকানপাট কিছু কিছু খোলা আছে, মানুষজনের চলাচল অনেকটাই কম।
লেস্টারশায়ার কাউন্টির ইকুয়ালিটি ও হিউম্যান রাইটস কর্মকর্তা কাজী মাসউদ বলছিলেন, শহর কেন্দ্রে লোকজনকে বড় দল নিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে। লেস্টারের লোকজন সেখানকার মেয়রের সমালোচনা করছেন এই বলে যে - শহরের পুলিশ বাহিনী তার নিয়ন্ত্রণে হলেও তিনি সহিংসতা দমনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছেন। শহরের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা রব নিক্সন বলেছেন, উত্তেজনা সৃষ্টির পেছনে সামাজিক মাধ্যম ছড়ানো ভুয়া খবর অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করেছে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুসংক্রান্ত খবরের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও উপমহাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এ ঘটনা ছিল বড় খবর। যুক্তরাজ্যে ভারত ও পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকেও এ ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে লেস্টারের ঘটনাবলীতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, লেস্টার শহরে "মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শন চলছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। লেস্টারে এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ঘটনার খবর এটাই প্রথম নয়।"
অন্যদিকে ভারতীয় হাইকমিশন রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, "লেস্টার শহরে ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, হিন্দু ধর্মীয় স্থান ও প্রতীকের যে ক্ষতিসাধন করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করি, এবং এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবার জন্য যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছি।" সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।