Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যশোরের বিজিবির বিরুদ্ধে দিনমজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৫১ পিএম

যশোরের বেনাপোলে বিজিবির বিরুদ্ধে সোহাগ মিয়া (৩৫) নামে এক দিনমজুরকে মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই দিনমজুরের স্ত্রী রিমা বেগম সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। একই সাথে তারা 'মিথ্যা মামলা' প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করেছেন। তবে বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজানো ও মিথ্যা দাবি করে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকীক বলেন, গ্রেফতারকৃত সোহাগ মিয়ার স্ত্রী যে অভিযোগ করছে সেটা তাদের সাজানো ও মিথ্যা। পূর্বেও তার বিরুদ্ধে মাদক ও স্বর্ণচোরাচালান নিয়ে অভিযোগ ছিলো বিজিবির কাছে। ঘটনার দিন মাদকসহ হাতেনাতে বিজিবি আটক করে সোহাগ মিয়া। এই সোহাগ মিয়া বেনাপোলের পুটখালির স্বর্ণচোরাচালানের মূল হোতা নাসিরের সাথেও সংপৃক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিমা বেগম বলেন, তার স্বামী সোহাগ মিয়া ওরফে বড় বাবু শার্শা উপজেলার সাতমাইল (বাগআঁচড়া) এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় গরুর হাটে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গভীররাত থেকে পরদিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা তাদের বাড়িতে স্বর্ণের বার উদ্ধারের নামে অভিযান চালায়। সেইসময় তারা বাড়িতে কোন কিছু না পেলেও সোহাগকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবি সোহাগকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক দেখিয়ে মামলা করে। এমনকি ওই মামলায় সোহাগের ছোট ভাই মিলনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিমা বেগম তার স্বামীর মুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ জানিয়েছেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বিওপি (বিজিবি) ৪৯/ডি কোম্পানির জেসিও-৮০৭৮ সুবেদার মো. আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে বেনাপোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮.২০ মিনিটের দিকে বেনাপোল থেকে যশোরের দিকে যাওয়া একটি প্রাইভেট কার তল্লাশিকালে সেখানে থাকা চারজন দৌড়ে পালানোর সময় সোহাগ হোসেন ওরফে বড় বাবুকে আটক করা হয়। এরপর গাড়িতে থাকা ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ইয়াবা স্বদৃশ গোলাপী ট্যাবলেট ৪ হাজার ৯৬৫ পিস, চার কেজি গাঁজা, কাঁটাতার কাটার কাইচি, সোনা প্যাকিং করার ম্যাটেরিয়াল ও প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়। এই বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভ’ইয়া বলেন, ‘আমরা আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করি। বিজ্ঞ আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ