মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে লটারি কেনার একদিনের মধ্যেই ২৫ কোটি রুপি জিতে নিয়েছেন এক অটোরিকশাচালক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৯ কোটি ৪৮ লাখ এক হাজার ৮৫৬ টাকা। ‘ওনাম বাম্পার লটারি’ জেতা এই অটোরিকশাচালক নাম অনুপ বি। তার বাড়ি কেরালার শ্রীবরাহমে। স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ড্র’র আগের দিন শনিবার তিনি লটারিটি কিনেছিলেন।
অথচ লটারি জেতার আগের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাঁধুনি হিসেবে কাজ করার জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন অনুপ। এ জন্য ব্যাংকে তিন লাখ রুপি ঋণ চেয়ে আবেদনও করেছিলেন। যদিও তার আবেদন অনুমোদিত হওয়ার একদিন পরই তিনি লটারি জিতে নিলেন। অনুপ বলেন, ‘ঋণের বিষয়ে রোববার ব্যাংক থেকে ফোন এসেছিল। আমি বলে দিয়েছি, আমার আর ঋণের দরকার নেই। আমি মালয়েশিয়াও যাব না।’
গত ২২ বছর ধরে লটারির টিকিট কিনছেন অনুপ। আগে তিনি লটারিতে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার রুপি পর্যন্ত জিতেছেন। আর এবার জিতলেন ২৫ কোটি রুপি।
তিনি জানান, লটারি জেতার আশা ছিল না তার। তাই টেলিভিশনে লটারি ড্রয়ের ফল দেখেননি। কিন্তু তার মোবাইল ফোনে আসা একটি খুদেবার্তা জানায়, তিনি লটারি জিতে গেছেন। অনুপ বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে আমার স্ত্রী মায়াকে দেখালাম। তিনি নিশ্চিত করেন যে আমার কেনা লটারির নম্বরটিই (TJ750605) বিজয়ী।’
অনুপ বলেন, লটারি জেতার পরেও তিনি চিন্তার মধ্যে ছিলেন। তাই লটারি টিকিট বিক্রি করেন, এমন এক ব্যক্তিকে ফোন করেন। তাকে লটারির টিকিটের ছবি পাঠান। তখন ওই ব্যক্তি নিশ্চিত করেন যে এটাই বিজয়ী নম্বর। যদিও কর কেটে নেওয়ার পর প্রায় ১৫ কোটি রুপি হাতে পাবেন অনুপ।
লটারি জেতার অর্থ দিয়ে কী করবেন জানতে চাইলে অনুপ বলেন, ‘আমার প্রথম অগ্রাধিকার হলো পরিবারের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করা। এরপর ঋণ পরিশোধ করা। এ ছাড়া আত্মীয়দের সাহায্য করতে চাই। কিছু দাতব্য কাজও করবো। আপাতত কেরালায় হোটেল ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছি।’ পাশাপাশি, ভবিষ্যতে আবারও লটারির টিকিট কিনবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাকতালীয়ভাবে গত বছরও ওনাম বাম্পার লটারি জিতে নিয়েছিলেন এক অটোরিকশাচালক। ১২ কোটি রুপি জিতে নেওয়া সেই ব্যক্তির নাম ছিল পি আর জয়াপালান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্যমতে, এই লটারির মাধ্যমে কেরালা সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি রুপি। ৫০০ রুপি মূল্যের টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পুরস্কার বাবদ দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি রুপি। তৃতীয় পুরস্কার প্রাপকের ঝুলিতে গিয়েছে এক কোটি রুপি।
কেরালার অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল বাম্পার লটারির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।