পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে শত বাধা সত্ত্বেও স্বপ্ন পূরণ যে হবেই তা দেখিয়ে দিলেন মান্য সিংহ। এক জন অটোচালকের মেয়ে হলেও তিনি সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন।
মান্যর জন্ম উত্তরপ্রদেশে। ছোট থেকেই অভাবের সংসার তাদের। অটোচালক বাবার রোজগার তেমন ছিল না। ঠিকমতো দু’বেলা খাবার জুটত না। ক্ষুধার জ্বালায় রাতের পর রাত ঘুমতেও পারতেন না। সংসারে অভাব থাকলেও মা-বাবা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে গিয়েছেন মান্যকে স্কুলে পড়াতে। তার উপর স্কুলে তার সঙ্গে কেউ বন্ধুত্বও করতে চাইত না। অটোচালকের মেয়ে হওয়ায় সহপাঠীরা তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত। সে সবও যেন তার পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ক্রমে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তার। বাড়ির কাজকর্ম নিয়েই সে থাকত সারা দিন। বাসন পরিষ্কার, ঘর পরিষ্কার— এ সব যেন দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছিল মান্যর কাছে।
১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ছোট্ট মান্য। কোনও ভাবে রোজগার করে পড়াশোনার টাকা জমাতে শুরু করে সে। দিনে পড়াশোনা, সন্ধ্যায় বাসন মেজে উপার্জন করে এবং রাতে কল সেন্টারে কাজ করতেন। এ ভাবে পড়াশোনাও শেষ করেন। সামান্য কিছু টাকা বাঁচাতে গাড়িতে না উঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যাতায়াত করতেন। দ্বিতীয় সেরার মুকুট মাথায় পরে মান্য নিজেই এই কথাগুলো বলছিলেন। তবে কী ভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে এলেন, কোথায় গেলেন এবং কী ভাবে উপার্জনের রাস্তা খুঁজে পেলেন, সে সব কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। তবে জানান, এই সম্মান পাওয়া তার কাছে স্বপ্নের মতো। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। রাত জেগে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন প্রতিযোগিতার জন্য। প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত টাকা তিনি মা-বাবা এবং ভাইকে দিতে চান। আর মান্য নিজে হতে চান এক জন সফল মডেল। সূত্র : নিউজ ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।