বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো.ইব্রাহিম নামে এক যুবককে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। রোববার বিকেলে রামগতি সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন এ অভিযোগ করেন। ১২ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে পুলিশ উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার নিজ বসতঘর থেকে একটি দেশিয় অস্ত্রসহ ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিমের বাবা আবুল কালাম ও মা হোসনেয়ারা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, তাঁর ছেলে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার চরআব্দুল্যাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় কৃষিপণ্য বেচা-কেনার কাজ করছেন। এ সুবাধে স্থানীয় একটি জলদস্যু গ্রুপ ইব্রাহিমকে তাঁদের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ওই গ্রুপের সদস্যরা চার বছর আগ থেকে তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছেন। তাঁদের ফাঁসানো একটি মামলায় কারাভোগ করে দেড় মাস আগে ইব্রাহিম জামিনে আসেন। এতেও ওই গ্রুপটি থেমে থাকেননি। সোমবার ভোররাতে আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল ইসলামসহ ওই গ্রুপের কয়েকজন সদস্য উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার ইব্রাহিমের বসতঘরে হানা দেন। পরে তাঁরা থানায় খবর দিয়ে একটি অস্ত্রসহ ইব্রাহিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ইব্রাহিমের বাবা আবুল কালাম বলেন, চৌকিদার কামরুল কয়েক মাস আগে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাদেরকে মামলায় ফাঁসাবেন বলে হুমকিও দেন। যে কারণে, এ ঘটনাটি তাঁরই সাজানো বলে আমরা মনে করছি।
ইব্রাহিমের পরিবারের অভিযোগ, ওই জলদস্যু গ্রুপটির কারণে ইব্রাহিম স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছেন না। দস্যুদের একের পর এক ষড়যন্ত্রে তাঁর জীবন এখন ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে। যে কারণে, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিমের চাচা চরআব্দুল্যাহ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, চরআব্দুল্যাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইউব নবী, আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম, স্থানীয় বাসিন্দা আবু ছায়েদ, ইয়ানুর বেগম, জোসনা বেগম ও ছালেহা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁরাও এ ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন।
এদিকে এ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল আলম বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি ইব্রাহিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের বসতঘর থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। এতে কোনো ষড়যন্ত্র ছিল না।
তবে, স্থানীয় চৌকিদার না জানলেও অন্য এলাকার চৌকিদারের তথ্য দেওয়ার বিষয়টি ব্যতিক্রম বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ইব্রাহিমের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি অস্বাভাবিক নয়। কারণ, এর আগেও সে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। এছাড়া ইব্রাহিম ডাকাতদলের একজন চিহ্নিত সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। তবুও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে এ মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।