লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে একটি হত্যা মামলায় নিরিহ লোকজন কে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের
চরসিতা গ্রামের জমিদারহাট এলাকায়।মামলার এজহার সুত্রে জানাযায়,২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ছেরু হাওলাদার বাড়ীর দক্ষিণে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন পরিবার লোকজন।নিহত ফারুক হোসেন রামগতি উপজেলার চরসিতা গ্রামের পৌর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঐ বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে কমলনগর থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফারুকের স্ত্রী খতিজা।মামলা নং ০৮/২৪/১২/২০২০ ইং। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলাটি আমলে নিয়ে এজহার ভুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত মামলটি ডিবি পুলিশ কে তদন্তের নির্দেশ দেন।সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়,ঐ হত্যা মামলার ১ নং আসামী দেলোয়ার হোসেন একজন বাক প্রতিবন্ধী ও নিহত ফারুকের মেয়ের জামাই হয়।অন্য আসামী গণ বাদী খতিজার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা ও জামাই দেলোয়ারের আত্মীয় হয়।পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তাদের কে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। অপর আসামি ইকবাল চট্রগ্রামের একটি ট্রাকের ড্রাইভার,আরিফ আমিন এলাকার একজন আমিনশীফ ও হাফিজ উল্যাহ জমিদারহাট বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।তাদের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। ফারুক হত্যার সময়ে এই চারজন আসামী কেউ বাড়ীতে ছিলেননা। তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন।অথছ ফারুক হত্যা মামলায় তারা আসামি হয়ে আজ পলাতক অবস্থায় রয়েছে।নিহত ফারুকের বাড়ী রামগতি উপজেলার জমিদারহাট এলাকা।আর এই হত্যাকান্ডের অবস্থান ছিল পার্শ্ববর্তী কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে।কিন্ত যাদেরকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে, এরা ফারুকের আত্মীয় স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশী।ঘটনার প্রায় তিন মাস পূর্ব থেকেই আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্হানে কর্মব্যস্ততায় ছিলেন।এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়,এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা।একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে পুর্বের শত্রুতার জের ধরে নিরাপরাদ এই লোকজন কে মামলার আসামী করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আরিফ ফারুক হত্যার সঠিক বিচার দাবী করে বলেন যাদেরকে আসামি করা হয়েছে। তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী শনাক্তে দাবী তাদের।চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন বিষয়টি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে।নিরাপরাদ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত করার দাবী তার।কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ নুরুল আফসার বলন,ফারুক হত্যাকান্ডের সঠিক অপরাধী শনাক্ত করতে ডিবিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।কোন অবস্থাতেই নিরাপদ কোন লোক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।