পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গৃহপালিত বিরোধী দল তথা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাবি করেছেন, ১৯৮২ সালে তৎকালীন সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ অসাংবিধানিক ছিল না। আমি ক্ষমতা দখল করিনি, গ্রহণ করিছি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবী করেন। তিনি বলেন, অনেকে বলে আমি অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতায় ছিলাম। এটা সত্য নয়। প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার সাহেব রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে ইচ্ছুক ছিলেন না। তাই তিনি আমাকে ক্ষমতা দেন নাই, দিয়েছিলেন সামরিক বাহিনীকে। ওই সময় আমি সিনিয়র ছিলাম, সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলাম। সেই হিসেবে তিনি আমার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতা হস্তান্তর এক নয়। কাজেই আমার ক্ষমতা গ্রহণ অসাংবিধানিক ছিল না। তিনি আরো বলেন, সংবিধান না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না, গণতন্ত্র না থাকলে সংবিধান থাকে না। আমি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাইনি। সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাকে আসতে হয়েছিল। সেই সময় সারাদেশে অরাজকতা, সেনাবাহিনীতে ১৯ বার ক্যু, মন্ত্রীর বাড়িতে হত্যা মামলার আসামির আশ্রয়সহ বিভিন্ন অরাজকতায় অসহায় হয়ে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আবদুস সাত্তার।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করে দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, এসএম মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, কেন্দ্রীয় নেতা এমপি, নুরুল ইসলাম নুরু, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আকতার, এমএ তালহা প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, ’৯০ সালে যারা আমার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন, কীভাবে পদত্যাগ করব, কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করব তার কোনো রূপরেখা তারা দেননি। আমিই বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট করেছিলাম, তাকে শপথও করিয়েছিলাম আমি। তারপর তার কাছে সাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম। কিন্তু তিনি বেঈমানী করেছিলেন। আমাকে জেলে দিয়েছিলেন, দলের কর্মী-সমর্থকদের হয়রানী করেছিলেন। আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চাননি। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, পত্রিকায় দেখলাম একজন বলেছেন- বাকশাল আর স্বৈরাচার মিলে দেশকে ধ্বংস করছে। আপনি ক্ষমতায় গিয়ে ১৫ জন কৃষককে মেরেছিলেন। তাদের অপরাধ, তারা সার চেয়েছিল। কানসাটে মানুষ মেরেছেন, কারণ তারা বিদ্যুৎ চেয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ২৯ জন মানুষ মেরে ফেলেছেন। শুধু তাই না, আপনি এতিমদের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। বক্তব্যের এই পর্যায়ে দৃশ্যত উষ্মা প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, আর এখন বলছেন স্বৈরাচার আর বাকশাল দেশ ধ্বংস করছে। লজ্জা করে না? যারা এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে তারা রাজনীতি করে কি করে? যারা বাস জ্বালিয়ে মানুষ মারে তারা রাজনীতি করে কি করে? বছরের পর বছর ধরে যারা দেশের বাইরে থাকছে তাদের টাকা কোথা থেকে আসে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।