গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেও দূরে ছিলেন তিনি।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম জানাজা বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর জন্মভূমি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনিতির সাথে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে এসে তিনি দেশের প্রধান তিনটি দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু সরকারে তিনি দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার অংশ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সরকার পতনের পর ১৯৯২ সালে এরশাদ তাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সর্বশেষ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। ২০০৯ সালে তার স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন। তার ছেলে এখন আমেরিকায় অবস্থান করছেন। শাহ মোয়াজ্জেমের জানাজার বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।