Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রও বলা যায় চট্টগ্রামকে। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় সমুদ্রবন্দরই এর মূল কারণ। তাই বলা হয়, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। কিন্তু দখল, দূষণ কর্ণফুলীকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। এগিয়ে যাচ্ছে মরণদশায়। ড্রেজিংয়ের সময় দেখা গেছে, এর তল দেশে ৬০ ফুট পর্যন্ত পলিথিনের স্তর জমা হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শিল্প ও গৃহস্থালি বর্জ্যতো পড়ছেই। এ অবস্থায় কর্ণফুলী নদী রক্ষায় জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১৮-১৯ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বন্দরনগরীতে দৈনিক বর্জ্য উৎপাদিত হয় তিন হাজার টন। এর প্রায় পুরোটাই পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। যার ৮.৩ শতাংশই হচ্ছে প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য। সেই হিসাবে নগরীতে প্রতিদিন অপচনশীল এই বর্জ্য তৈরি হয় ২৪৯ টন। নদীর তলদেশে জমা হওয়া ৬০ ফুট বর্জ্যের স্তরের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ভূগর্ভে পানি প্রবেশ। অতএব, নদী রক্ষায় আগে নদীর তলদেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরাতে হবে। পাশাপাশি নদীতে প্লাস্টিক-পলিথিনসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি, অচিরেই কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নেবেন।
কে, এম, ছালেহ আহমদ জাহেরী
শিক্ষার্থী, মৌকারা ডিএসএন কামিল মাদ্রাসা, কুমিল্লা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
আরও পড়ুন