বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে প্রবল স্রোতে নৌকাডুবির ঘটনায় ২৮ ঘণ্টাতেও নিখোঁজ তিনজন উদ্ধার হয়নি। সোমবার ভোর থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আগের দিন রোববার বিকেলে পদ্মার স্রোত অনূকুলে না থাকায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করেছিল ফায়ার সার্ভিস।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ২১ জন কৃষক একটি নৌকা নিয়ে সাতবাড়িয়া এলাকার মিজানের মোড় বালুরঘাট থেকে মধ্য চরে কৃষিকাজের জন্য যাচ্ছিলেন। নৌকাটি ছোট, অতিরিক্ত যাত্রী ও বড় ঢেউয়ের কারণে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ১৮ জন সাঁতরে ফিরে আসলেও তিনজন আসেননি। তাদের উদ্ধারের জন্য সারাদিন অভিযান চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এছাড়াও ডুবে যাওয়া নৌকার ওখানে সকাল নয়টার দিকে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই নৌকা পদ্মার মধ্য চর থেকে কাশফুলের খড় নিয়ে এপারে আসছিল। যাত্রী ছিলেন তিনজন। তবে তারা সাঁতার কেটে পাড়ে ফিরে এসেছেন। ওইদিন বিকেলে তালাইমারী এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের সামনে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবন্ত নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা।
পদ্মা নদীতে নিখোঁজ তিনজন হলেন— চরসাতবাড়িয়া এলাকার মৃত ইসাহাকের ছেলে গোলাম নবী, চরশ্যামপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদের ছেলে সাদেক আলী, একই এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। এদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এরা সবাই কৃষক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, একটি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ২১ জন যাত্রী নগরীর সাতবাড়িয়া এলাকার মিজানের মোড় বালুরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। তারা সবাই মধ্য চরে যাচ্ছিলেন। চরে কৃষি জমিতে চাষবাস করেন। ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকায় বেশি যাত্রী নেওয়ায় মাঝনদীতে গিয়ে প্রবল স্রোতের কারণে ডিঙ্গি নৌকায় পানি ওঠে। এক পর্যায়ে নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। পরে সাঁতরে ওই নৌকার ১৮ জন যাত্রী পাড়ে উঠে আসলেও তিনজন নদীতে তলিয়ে যান। এখনও তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, পদ্মার স্রোত প্রতিকূলে থাকায় তল্লাশী অভিযান বন্ধ করা হয়েছিল। সোমবার ভোর থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকার কারণে আমাদের উদ্ধারের নৌকাটিও ঠিক ভাবে রাখা যাচ্ছে না। ওখানে ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির হয়ে আছে। তারপরও আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে লাশ ভেসে উঠে। কিন্তু স্রোতের কারণে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা বড়াল নদীর মোহনায় চোখ রাখছি সেখানে মৃতদেহ ভেসে গেছে কি না। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন যায়গায় তল্লাশী চালাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।